পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইরাকের কারবালা শহরে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শিয়া মতাবলম্বীদের একটি মিছিলে পদদলিত হয়ে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার এই ঘটনায় আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফ আল বদর জানিয়েছেন, হতাহতের এই সংখ্যা চ‚ড়ান্ত নয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, গত কয়েক বছরের মধ্যে আশুরা পালনের সময় এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী পদদলনের ঘটনা। ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে প্রায় একশ’ কিলোমিটার দূরের কারবালা শহরে প্রতি বছর লাখ লাখ শিয়া মতাবলম্বী আশুরার মিছিলে যোগ দেয়। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.)-এর নাতি হযরত হুসাইনের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের অংশ হিসেবে ওই মিছিল আয়োজন করা হয়। ৬৮০ খ্রিস্টাব্দে ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে কারবালায় নিহত হন তিনি। ইরাক, ইরান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ভারত, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিয়া মতাবলম্বীরা এই দিনটি প্রার্থনা ও মিছিলের মধ্য দিয়ে পালন করে থাকে। এই বছর কারবালায় আয়োজিত মিছিলের একাংশের ওপর ফুটপাত ধসে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে অন্যরা ছুটতে শুরু করলে পদদলিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
আল জাজিরার প্রতিনিধি জানান, চলতি বছর এই আয়োজনে অংশ নিতে কারবালায় প্রায় ৩০ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছে বলে দাবি করেছেন আয়োজকরা। মঙ্গলবার কালো পোশাক পরা লাখ লাখ শিয়া মতাবলম্বী কারবালায় ইমাম হোসেনের মাজার অভিমুখে রওনা দেয়। অনেকেই নিজেদের বুকে-পিঠে আঘাত করে ইমাম হোসেনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। রাজধানী বাগদাদ ছাড়া নাজাফ ও বসরা শহরেও একই ধরনের মিছিল হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের সুন্নি প্রভাবিত শাসনামলে আশুরার বেশিরভাগ মিছিলই নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে এখন দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি কারবালা যুদ্ধের স্মরণে নানা আয়োজন করা হয়। সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।