পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কমনওয়েলথ অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটসভুক্ত (সিআইএস) দেশগুলোর সঙ্গে বাধা দূর হলে বাংলাদেশের রপ্তানি কয়েকগুণ বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে। বিশ্ববাজারে দিনদিন তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে। বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছে। দেশে একের পর এক গ্রীন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। বাংলাদেশ উজবেকিস্তানসহ সিআইএসভুক্ত দেশ-আজারবাইজান, বেলারুশ, কাজাখাস্তান, কিরগিজিস্তান, আর্মেনিয়া, মলদোভা, রাশিয়া এবং তাজিকিস্তান বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া, পাটজাত পণ্য এবং ফার্মাসিউটিক্যালসহ বেশ কিছু পণ্যে প্রচুর চাহিদা রয়েছে উজবেকিস্তনে। কিছু জটিলতার কারণে প্রত্যাশা মোতাবেক উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে না। এ জটিলতা দূর হবে ব্যবসা স¤প্রসারণ হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে গত মঙ্গলবার উজবেকিস্তান টেক্সটাইল এন্ড গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রি এসোসিয়েশন আয়োজিত উজবেকিস্তান টেক্সটাইল কনফারেন্স অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উজবেকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইলিয়রগানিয়েভ, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত, আইএলও, আইএফসি প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বিশ্ববাজারে দিনদিন তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে। বাংলাদেশের কারখানাগুলোতে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছে। দেশে একের পর এক গ্রীণ ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। যা বিশ্বের মধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে। বাংলাদেশ উজবেকিস্তানসহ কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলো বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বাণিজ্য কিছু বাধা রযেছে তা দুর হলে রপ্তানি অনেকগুন বাড়বে। তিনি বলেন, সিআইএস ভুক্ত দেশ সমুহের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা। রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত মে মাসে ইউরেশিয়ান ইকনোমিক কমিশনের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে।
গত ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ উজবেকিস্তানে রপ্তানি করেছে ২ কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করা হয়েছে ১৯ কোটি ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।