বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাতক্ষীরার আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের ওপর তিন দফা হামলা ও তার অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান তাজ ও সহযোগী ছাত্রলীগ নেতা আল মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম জানান, অধ্যক্ষ মামলা দেওয়ার পর আশরাফুজ্জামান তাজ ও তার সহযোগী ছাত্রলীগ নেতা আল মামুনকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে নিজ কক্ষে অফিসিয়াল কাজ করছিলেন। এ সময় এক যুবক এসে তাকে সালাম দিয়ে একটু রুমের বাইরে আসতে বলে।
তিনি বলেন, বাইরে আসার পরপরই তার সামনে আরেকটি ছেলেকে তারা বেদম মারধর করতে থাকে।
বিষয়টি কী তা জানতে চাইলে তারা জানায়, সে সাতক্ষীরা থেকে একটি মেয়েকে এনে কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে অনৈতিক আচরণ করেছে। অধ্যক্ষ ছেলেটিকে মারধর না করে তার কাছে দিতে বলেন। এ সময় তিনি তার অভিভাবকদের ফোন করে ডেকে আনেন। একই সময়ে সেখানে পুলিশও পৌঁছায়। পরে পুলিশ থানায় এনে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় অজ্ঞাত পরিচয় ছেলেটিকে।
অধ্যক্ষ জানান, ছেলেটিকে তাদের হাতে কেনো দেওয়া হলো না এই কৈফিয়ত তলব করে তার ওপর হামলা করে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান তাজ ও তার সহযোগী শাওন, আল মামুন ও সাইফুল্লাহসহ ৭-৮ জন ছাত্রলীগ ক্যাডার। এ সময় তারা তার কক্ষ, জানালার গ্লাস ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। ইটপাটকেল ছুড়ে তান্ডব চালায়। এভাবে পরপর তিনবার তিনি এই হামলার শিকার হন। তাকে চড় কিল ঘুষি মেরে ফেলে দেওয়া হয়।
তিনি জানান, সহকর্মী শিক্ষকরা হামলাকারীদের কবল থেকে তাকে রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সহকর্মীরাও কমবেশি লাঞ্ছিত হন। এ সময় তাজ বলে ‘ এখানে চাকুরি করতে হলে আমাদের কথা মতো চলতে হবে। না হলে সাইজ করে দেবো’।
আক্ষেপ করে অধ্যক্ষ বলেন, এসব সন্তানতুল্য ছেলেদের হাতে বারবার লাঞ্ছিত হয়ে আমরা যেনো মরে গেছি। তিনি জানান, বিষয়টি তিনি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছেন। একই সাথে তাদের নাম উল্লেখ করে আশাশুনি থানায় তিনি একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান বলেন, তাজ ও অন্যদের বিরদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হলেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।