বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার খালিশপুর ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রিপন হোসেন (২৫) নামে এক কলেজছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। রিপন মুজগুন্নী এলাকার নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত হোসেনের ছেলে। তিনি মহানগরের সিটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অটোমোবাইল ডিপার্টমেন্টের সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।
রিপনের চাচাতো ভাই ইয়াসিন বলেন, শনিবার দিবগত রাতে হঠাৎ ফেটে ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকজনিত কারণে অসুস্থ হলে রিপনকে খালিশপুর ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এসময় তাকে ২০ মিনিটে ১ লিটার ওজনের স্যালাইন পুশ করেন নার্সরা। এত দ্রæত স্যালাইন দেওয়া দেখে আমরা প্রথমে ডিউটি ডাক্তার সুজাউদ্দিন সোহাগের কাছে গিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা তো ডাক্তার না। বোঝবেন কি? তখন আমরা চুপ করে থাকি। পরে ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, রিপন ভালো ছাত্রের পাশাপাশি ভালো ক্রিকেটার ছিল। তারা দুই ভাই। বড় ভাই সুইডেন প্রবাসী।
এদিকে, রিপনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনরা কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধরের পর জোর করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় খুমেক হাসপাতাল থেকে কায়েস ও কৌশিক নামে দু’জনকে আটক করেছে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ।
খালিশপুর ক্লিনিকের মালিক ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, রাত ১২টার পরে একটা রোগী আসে বুকে ব্যথা নিয়ে। তাকে সম্ভাব্য সব চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন তার মৃত্যু হয়। কিন্তু হাসপাতালে সন্ত্রাসীরা কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুজাউদ্দিনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় খুমেক হাসপাতালে অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, চিকিৎসককে লাঞ্ছিত ও জিম্মি করে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য কায়েস ও কৌশিক নামে দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।