পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অর্থনৈতিক করিডোরে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে আগ্রহী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আগামী বছরের মার্চ মাসে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিনিয়োগের অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও সম্ভাবনা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে সংস্থাটি।
গতকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘নর্থইস্ট বাংলাদেশ ইকোনমিক করিডোর ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এডিবি‘র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, এসডিজি বাস্তবায়নের প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদসহ অন্যরা এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমাদের প্রধান উদ্দেশ্যে- প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেয়া। শুধু ফাইল নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না। আমাদের জানা আছে, আমাদের কী সমস্যা। এসব সমস্যা সমাধান করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অর্থনৈতিক করিডোরে এডিবি’র বিনিয়োগের প্রস্তাব একটি ভালো উদ্যোগ। এর আগে এডিবি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিযেছে। এবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিনিয়োগ করতে চায়। ওয়ার্কশপে এই ধরনের উদ্যোগে কী কী সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব কতটুকু, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পানি প্রকল্প, রেল লাইন নিয়ে যাওয়া কিংবা গ্যাস সংযোগ দিলে কী ধরনের সুফল আসবে, এসব নিয়ে একাডেমিক স্টাডি হয়েছে। তবে আগামী মার্চে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে এডিবি। তারপর বিস্তারিত বলা যাবে।
এডিবি’র সহায়তা নিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে সক্রিয় হতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে প্রকল্প তৈরি করতে হবে। প্রকল্প তৈরি করে নিয়ে এলে আমরা দ্রুত পাস করে দেব। কিন্তু মন্ত্রণালয় যদি নিজেরা নিজেদের পরিকল্পনা না নিয়ে আসে, তাহলে কিভাবে হবে? এডিবি টাকা নিয়ে বসে আছে। আমরা চাইলে দেবে। কিন্তু আমাদের প্রকল্প তৈরি করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, নতুন করে দেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন তৈরি হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের পর্যটন শিল্পকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এতে করে স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হবে এবং দারিদ্র্য বিমোচন হবে। তিনি বলেন, আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হতে চাই। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল বাদ পড়লে বা সারাদেশ উন্নত না হলে এটা সম্ভব হবে না। এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে আসার জন্য আমি এডিবিকে ধন্যবাদ জানাই।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খুবই গতিশীল। এখানকার মানুষ কিছু করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন একটি অর্থনৈতিক করিডোর তৈরি করতে পারলে এ দেশের মানুষের কর্মসংস্থান বাড়বে, স্থানীয়দের কাজের সুযোগ তৈরি হবে এবং নতুন নতুন পর্যটনশিল্প গড়ে উঠবে।
কর্মশালায় বলা হয়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অর্থনৈতিক করিডোরে এডিবির প্রস্তাবনা অনুযায়ী বিনিয়োগ করলে ২০৫০ সাল নাগাদ ১৪৮ বিলিয়ন আয় করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, ২০৫০ সাল নাগাদ এই অঞ্চলে ৩৫ মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এতে করে অবকাঠামোগত, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি মাথাপিছু আয়ও বাড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।