পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত সারা দেশে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৪৬ জন এবং আহত হয়েছেন ৯৭ জন। নিহতদের মধ্যে ৩০ জন নারী, ৬ জন শিশু, ৮ জন কিশোর-কিশোরী এবং ২০২ জনই রয়েছে পুরুষ।
গতকাল রোববার রাজধানীর পুরানা পল্টনের রিসোর্সফুল পল্টন সিটিতে আয়োজিত চলতি বছর বজ্রপাতে হতাহতের পরিসংখ্যান নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম নামের একটি সংগঠন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসএসটিএফের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লা প্রত্যেক মাসের পরিসংখ্যান উল্লেখ করে জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ১১ জন। এর মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ১ জন নারী রয়েছেন। ফেব্রুয়ারি মাসে আহত হয়েছেন ৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪, নারী ২ এবং কিশোর কিশোরী রয়েছে ২ জন। মার্চ মাসে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এর মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ২টি শিশু রয়েছে। এ মাসে আহত হয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ জন এবং শিশু রয়েছে ২টি। এপ্রিল মাসে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ২ জন নারী ও ১ জন কিশোর-কিশোরী রয়েছে। এ মাসে আহত হয়েছেন ৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭ জন এবং নারী ১ জন।
তিনি বলেন, মে মাসে নিহত হয়েছেন ৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ জন, নারী ৮ জন, শিশু ১টি এবং কিশোর-কিশোরী ৩ জন। এ মাসে ২৪ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে পুরুষ ১৫ জন, নারী ৭ জন ও শিশু রয়েছে ২টি। জুন মাসে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জনের। এর মধ্যে নারী ১১ জন, শিশু ৩ জন, কিশোর-কিশোরী ২ জন এবং ৫০ জন পুরুষ রয়েছেন। এ মাসে আহত হয়েছেন ১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ জন, নারী ২ জন, শিশু ৩টি এবং কিশোর-কিশোরী ১ জন। জুলাই মাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। এর মধ্যে নারী ৪ জন এবং ৪৩ জনই পুরুষ। এ মাসে আহত হয়েছেন ২৫ জন। এর মধ্যে ২ জন নারী এবং ২৩ জনই পুরুষ। এ ছাড়া আগস্ট মাসে বজ্রপাতে মোট ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন নারী, ২ জন কিশোর-কিশোরী ও ৩১ জন পুরুষ রয়েছে। এ মাসে আহত হয়েছেন ১১ জন। এর মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ২ জন নারী, ১টি শিশু ও ১ জন কিশোর-কিশোরী রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানান, বজ্রপাতে এ বছর সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরা জেলায়। এ জেলায় চলতি বছরে ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ, পাবনা, সুনামগঞ্জ, কক্সবাজার, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল জেলায় বজ্রপাতে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ধান কাটার সময় বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরপর বেশি নিহত হয়েছে বৃষ্টিতে ভেজা ও বজ্রপাতের সময় মাছ ধরতে গিয়ে। এ ছাড়া মাঠে গরু আনতে গিয়ে এবং টিন ও খড়ের ঘরে অবস্থান ও ঘুমানোর সময় বজ্রাঘাতেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের গবেষণা সেল প্রধান আব্দুল আলীম, সহ-সভাপতি সোহেল রানা, তিতুমীর কলেজ ইউনিট সদস্য হাসনাইন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের সদস্য জুবাইর হুসাইন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।