পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষা খাতকে কিছু অসাধু ব্যক্তি সরকারের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে কোন রকম অনিয়ম, দুর্নীতি মেনে নেয়া হবে না, সব নির্মূল করা হবে। কারণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাখাতকে শুরু থেকেই অধিক গুরুত্ব দিয়েছে। আর এ কারণে শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগের চেয়ে সাক্ষরতার হার বেড়েছে। সবমিলিয়ে শিক্ষায় শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।
রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) এর অভিষেক-২০১৯ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইরাবের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মুসকাক আহমেদ।
দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি ও কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য সাব্বির নেওয়াজের সঞ্চালনায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ও শিক্ষা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য একই। আমরা সবাই আলোচনা ও সমালোচনার মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করি। কিন্তু কিছু গণমাধ্যমের সংবাদ আমাদেরকে বিকৃত করে, কেননা এ সংবাদের কোনও বস্তুনিষ্ঠতা থাকে না। তিনি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের শিক্ষার আমূল পরিবর্তন হয়েছে এ জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, দেশে সাক্ষরতার হার আগের তুলনায় বেশ খানিকটা বেড়েছে। আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। গণমাধ্যমকর্মীদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশেষ বরাদ্দ দিচ্ছে। সে অনুযায়ী আমরা এখনো সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হইনি। তবে বর্তমান সরকারের হাত ধরেই শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন এসেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, একসময় দেশের হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। এখন দেড়’শ এর বেশি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ও শিক্ষার্থী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বক্তব্য রাখেন।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র রিপোর্টার নিজামুল হক। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি), প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, ইউজিসি, এনটিআরসিএ, অবসর ও কল্যাণ বোর্ড, ঢাকা বোর্ডসহ বিভিন্ন বোর্ডসহ বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের কর্মকর্তা, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।