Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উন্মোচিত হচ্ছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার

গোসাইরহাটে মেঘনার চরে মহিষের খামার

মো. হাবিবুর রহমান হাবীব, শরীয়তপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের মেঘনা নদীর চরে গড়ে উঠা মহিষের খামার ঐ এলাকার মানুষের মাঝে নতুন সম্ভবনার দোয়ার খুলে দিয়েছে। চরে বিস্তৃর্ন কাশবনের সবুজ চারণভূমিতে প্রাকৃতিক ভাবেই বেড়ে উঠছে খামারিদের মহিষ। এ চরগুলোকে মহিষ পালনের আদর্শ স্থান বলে মনে করছে খামারিরা। মহিষের খামার গড়ে উঠায় নতুন সম্ভাবনার দ্বারউন্মোচন হয়েছে।

গোসাইরহাটের কোদালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কোদালপুর ও কুচাইপট্রি ইউনিয়নের চরজানপুরে গড়ে উঠেছে ২টি খামার। এ দুটি খামারে ৮ শতাধিক মহিষ রয়েছে। পাশ্ববর্তী ল²ীপুর জেলার ৫জন খামারি ওই দুটি খামার গড়ে তুলেছেন।
জেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ইতিপূর্বে শরীয়তপুর জেলায় শুধু গরু ও ছাগলের খামার থাকলেও স্বাধীনতার পর এই প্রথম বারের মত শরীয়তপুর জেলায় মহিষের পালন শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ল²ীপুর জেলার কয়েকজন খামারি মিলে গোসাইরহাট উপজেলার মেঘনা নদীর চরে দুটি খামার গড়ে তোলেন।

ল²ীপুর জেলার সাহেবের চর এলাকার বাসিন্দা খামারি আকুব আলী সরদার বলেন, গত বছর ৪৫০টি মহিষ নিয়ে একটি খামার গড়ে তুলি। ওই খামারের ৭০টি মহিষ দুধ দেয়। ওই দুধ পার্শ্ববর্তী বরিশাল, মাদারীপুর ও নোয়াখালী জেলায় বিক্রি হয়। প্রতি কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তিনি বলেন, আমরা চরের কিছু জমি ভাড়া নিয়ে খামারটি করেছি। স্থানীয় মাংস ব্যবসায়ীরা এসে খামার থেকে মহিষ কিনে নিয়ে যায়। দুধ নৌপথে পাঠানো হয়।
অপর খামারি জাকির হোসেন বলেন, এখানে চরগুলোতে অনেক গোচরণভূমি রয়েছে। পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক খাদ্য সহজ লভ্য হওয়ায় ল²ীপুর থেকে এসে খামার করেছি।
কোদালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, মহিষের খামারটি হওয়ায় ভালো হয়েছে। স্থানীয় খামারিরা উদ্যোগী হলে তাঁরাও লাভবান হবেন বলে আমি মনে করি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুবোধ কুমার দাস বলেন, শরীয়তপুরের ওপর দিয়ে পদ্মা ও মেঘনা নদী প্রবাহিত হয়েছে। ওই দুটি নদীতে বিভিন্ন স্থানে ছোটবড় মিলিয়ে অন্তত ৭৫টি চর রয়েছে। যেখানে কয়েক হাজার একর গো-চারণভূমি রয়েছে। আর নদীর চরগুলো মহিষ পালন করার আদর্শ স্থান। দীর্ঘদিন পরে হলেও শরীয়তপুর জেলায় খামারিরা চরাঞ্চলে বানিজ্যিক ভাবে মহিষ পালন শুরু করেছে। আর এক বছরের ব্যবধানে খামারিদের সাফল্য দেখা দিয়েছে। এসব চরে মহিষের লালন পালনে খরচ কম হওয়ায় লাভের পরিমান বেশী। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে খামারিদেরকে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ