পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়ধ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ধর্ম নিয়ে কথা বললে, ধর্মের পোশাক পড়লে জঙ্গি বানানো হয় আর পহেলা বৈশাখে পশুর মুখোশে কোন দোষ নেই। তিনি বলেন, আজকে আমরা ধর্ম নিয়ে কথা বলতে গেলে, ধর্মের পোশাক পড়লে তখন আমরা চেতনাবিরোধী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, জঙ্গি হয়ে যাই। আর পহেলা বৈশাখে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ যখন বিভিন্ন প্রকার পশু-বাঘ-প্যাঁচার মুখোশ পরে উদযাপন করে তাতে কোন দোষ নেই। অথচ ধর্ম নিয়ে কথা বললেই সব দোষ, তখন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী হয়ে যাবো, চেতনাবিরোধী হয়ে যাই।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে চামড়াশিল্প সর্বব্যাপী অর্থ সামাজিক অস্থিরতা ও করণীয় শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
১০ টাকার প্রতারণা কতদিন চলবে প্রশ্ন করে আলাল বলেছেন, এই সরকার ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়ার কথা বলেছে। এর আগে দশ টাকার চাউল খাওয়ানোর কথা বলেছে। তারপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ১০ টাকা দিয়ে সমুচা-সিঙ্গারা খাওয়ার কথা বলেছে। সর্বশেষ এসেছে ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখানো। এই যে দশ টাকার প্রতারণা এটা কতদিন চলবে? এই প্রতারণাটা এই সরকার এতো ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে যে, যতবার আমাকে কারাগারে নিয়ে রিমান্ডে নিয়েছে তার চেয়ে এই প্রতারণার যন্ত্রণা বেশি পেয়েছি।
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, বর্তমান সরকার ও তার চেলারা বলেন- এতিমের টাকা বেগম খালেদা জিয়া মেরে খেয়েছে এটা সত্য নয়। আমরা তো সবাই জানি বেগম খালেদা জিয়ার নামে দুদুক যে অভিযোগে করেছে তা হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুর্নীতি কিন্তু এতিমের টাকা আত্মসাতের তার সাজা হয়নি আদালতে তা প্রমাণ করতে পারেনি। তার সাজা হয়েছে বাংলাদেশ পেনাল কোড বিধি ৪০৯ ধারা কিন্তু ৪০৯ ধারায় বলা আছে ক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার তিনি করতে পারেননি। এই অপরাধে বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছে কিন্তু তারা গলাবাজি করে বলছে এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছে। কিন্তু এতিমের টাকা মেরে খাচ্ছে এই সরকার যা সর্বশেষ চামড়া দিয়ে বোঝা যাচ্ছে। হাজার হাজার লিল্লা বোডিং যেখানে এতিমরা থাকে তাদের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে খেয়েছে এই সরকার। চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৬ হাজার জনশক্তি ইরাকে প্রথম রফতানি করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় তৈরি করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। দেশ উন্নয়নের জন্য বিদেশ থেকে রফতানির যে আয়ের সম্ভাবনা তা প্রথম সৃষ্টি করেছিল বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল। আজ সেই অবস্থায়ও নাই। এখন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে শুধু লুটপাটের, দেশ উন্নয়নের নয়।
শিক্ষা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন হয়েছে যে ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে যেমন গাজা খাওয়া বৈধ, কানাডায় যেমন প্রকাশ্যে গাঁজা খাওয়া বৈধ, তেমনি সেই গাঁজাখোরদের মতো আমাদের বইপুস্তক করেছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার কথা আর কি বলব ছাত্রলীগের ছেলেপেলে দিয়ে রাস্তায় বোতল ফেলে, ময়লা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আখতারুজ্জামান তা পরিষ্কার করে ফটোসেশন করে। রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যার জন্য বাংলো করা হয়েছে তিনি বাংলোতে থাকেন না। ঢাকায় বসে বসে অফিস করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ঠিকাদারের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে তেলাবাজি করে। সেই টাকার কিছু অংশ ছাত্রলীগের মাঝে ভাগ-বাটোয়ারা করে দিচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নতুন কমিটি হওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ফুল দিয়ে তাদের সাথে মিছিল করছে, এই হলো শিক্ষা ব্যবস্থা! এভাবে কি একটি দেশ চলতে পারে? পারে না। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে বাঙালিদের জেগে উঠতে হবে । জেগে উঠুন, আপনারা আমাদের সাথে থাকুন, আমরা আপনাদের সাথে আছি।
খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর অবসরপ্রাপ্ত ইব্রাহিম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আহমেদ আবদুল কাদের, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।