পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ ভোটের রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ রাতে ভোট ডাকাতি করে আওয়ামী লীগ সারাজীবনের জন্য ভোটের রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে গেছেন, নিজের ইচ্ছায় বিদায় নিয়ে গেছেন। জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার জন্য তাদের আর মুখ নেই।
শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়ার অবদান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আজকে আবার কী দেখছি? ভোটের আগের দিন ২৯ ডিসেম্বর রাতে সকল প্রশাসনিক শক্তিকে হাতে নিয়ে তারা জনগনের ভোট ও অধিকার ডাকাতি করেছে। গণতন্ত্রকে কথা শুনলেই তারা আতকে উঠে। এর ফলে কী হচ্ছে? ভোট ছাড়া সরকার, গায়ের জোরে সরকার, অস্বাভাবিক সরকার- সব কিছু অস্বাভাবিক হচ্ছে। অস্বাভাবিক না হলে কিছুদিন আগে আমরা রুপপুরে পারমানবিক কেন্দ্র থেকে খবর পেলাম-বালিশ দুর্নীতি। একটা বালিশ নিচের থেকে উঠাতে কত টাকা লাগে? এখন দেখি বালিশকেও হার মানিয়েছে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পর্দা। একসেট পর্দার দাম নাকী ৩৭ লাখ টাকার উপরে। বালিশকেও হার মানিয়ে ফেললো পর্দা।
সরকারের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই অভিযোগ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, তারা যেহেতু অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে লুট করছে, ব্যাংক লুট হচ্ছে কোনো বিচার নাই, রিজার্ভ লুট হচ্ছে বিচার নেই। খেলাপীদের আরো সুযোগ দেয়া হচ্ছে। এটা জাতির জন্য দেশের জন্য অত্যন্ত অশনিসংকতে। যে দুর্নীতি উপর থেকে নিচে পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। সমাজে কিভাবে পচন লেগেছে?
তিনি বলেন, আজকে এই যে দুর্নীতির প্রকারভেদ আমরা দেখছি- এটা শুধু দেশে গণতন্ত্র নেই বলে হচ্ছে। যদি সরকার জনগণ দ্বারা নির্বাচিত হতো তাহলে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকতো। আবার জনগণও সরকারকে দায়বদ্ধ করতে পারতো। যেহেতু দায়বদ্ধতা নেই যে যা ইচ্ছা সেভাবে করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজকে যে অবস্থা- এটা বাকশালের প্রতিষ্ঠার পরে যে ধরনের শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা ছিলো, বর্তমানে অলিখিত বাকশাল সরকারের অধীনে ঠিক একইভাবে এক শ্বাসরুদ্ধকর বিরাজমান। এই পরিস্থিতি থেকে যদি আমরা জনগণকে রক্ষা করতে হয়, জনগণকে মুক্ত করতে হয় তাহলে এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে জনগণের মধ্যে ইস্পাতকঠিন জনঐক্য সৃষ্টি করে আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র রক্ষা ও অর্থনৈতিক মুক্তি কায়েম করতে হবে। আজকে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান যেটা বলেছিলেন সেটা প্রযোজ্য।এই লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
সংগঠনের প্রধান সমস্বয়কারী হুমায়ুন কবীর ব্যাপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠিকন সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।