প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলাদেশের লোক গানের উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন শিল্পী আব্দুুল আলীম। তিনি লোকসঙ্গীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বাল্যকাল থেকেই আব্দুল আলীম সঙ্গীতের প্রবল অনুরাগী ছিলেন। অর্থনৈতিক অনটনের কারণে কোনো শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য তার হয়নি। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন, আর বিভিন্ন পালা পার্বণে সেগুলো গাইতেন। এভাবে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পান। দেশভাগের পর আবদুল আলীম ঢাকা এসে বেতার-শিল্পীর মর্যাদা লাভ করেন। এখানে বেদারউদ্দীন আহমদ, ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, মমতাজ আলী খান, আব্দুল লতিফ, কানাইলাল শীল, আব্দুল হালিম চৌধুরীর কাছে তিনি লোকসংগীত ও উচ্চাঙ্গ সংগীতে পারদর্শী হয়ে উঠেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে আব্দুল আলীমের গানের প্রথম রেকর্ড হয়। রেকর্ডকৃত গান দুটি হল ‘তোর মোস্তফাকে দে না মাগো’ এবং ‘আফতাব আলী বসলো পথে’। ১৯৩১ সালে ২৭ জুলাই ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণকৃত এ শিল্পী ১৯৭৫ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর তাঁর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে। আব্দুুল আলীমের পিতা ছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ আলী এবং মাতা খাসা বিবি। ১৯৫৬ সালে আব্দুুল আলীম বাংলাদেশের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র ‘মুখ ও মুখোশ’-এ, প্লেব্যাক করেন। ‘সুজন সখী’র প্লেব্যাকের জন্য ১৯৭৪ সালে সেরা পুরুষ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৭৭ সালে আব্দুুল আলীমকে মরণোত্তর ‘একুশে পদক’ এবং ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতা দিবসে ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করেন। গুণী এ শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চ্যানেল আই ঐদিন সকাল ৭.৩০ মিনিটে স্টুডিও থেকে সরাসরি প্রচার করবে তাঁরই দুই পুত্র আজগর আলীম ও জহির আলীমের অংশগ্রহণে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠা অনুষ্ঠান ‘গানে গানে সকাল শুরু’। প্রায় দেড় ঘণ্ঠাব্যাপি এ অনুষ্ঠানে তাঁর সন্তানরা তাদের বাবার গানের বিশাল ভান্ডার থেকে গান পরিবেশন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।