পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গত কয়েকদিন ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় রাজধানীর অলিগলি এবং সারাদেশে বেড়েছে সরবরাহ। এর পরও দাম না কমার অভিযোগ পাইকারি ক্রেতাদের। ইলিশ দাম বাড়তি হলেও দেশি ও চাষের মাছের দাম কমেছে কেজিতে ২শ› টাকা পর্যন্ত। গতকাল মঙ্গলবার সকালের সোনালী রোদে রুপালী ইলিশ। মাছের রাজার এই দাপুট দেখা মিলবে রাজধানীর সবচেয়ে বড় মাছের পাইকারি বাজার সোয়ারি ঘাটে। ঝাঁকি ভরা ইলিশের গন্ধে তাই বেশ উচ্ছ¡াস দেখা যায় আড়ৎদারদের চোখে মুখে।
রাজধানীর অলি গলি এবং বাজারগুলোতে ইলিশ মাছের জন্য ছিল উপচেপড়া ভিড়। ভোক্তাদের ইলিশ মাছ চাই ই চাই। অপেক্ষাকৃত ছোট সাইজের (৪০০-৫০০ গ্রাম) দাম কম হওয়ায় ক্রেতাদের চোখ ছিল এসব মাছের দিকে। সাধ্যমতো বেশি দাম দিয়ে আবার বড় মাছও কিনতে দেখা গেছে ভোক্তাদের। বন্যার কারণে সবজির দাম চড়া। এছাড়া চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও আটার মতো নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
সরবরাহ বাড়লে কমবে দাম। এমনটি কথা থাকলেও মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায় তার উল্টো চিত্র। পাইকাররা বলছেন, সরবরাহ থাকলেও বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে কাঙিক্ষত ইলিশ। এক কেজি সাইজের ইলিশ ১১শ› থেকে ১২শ›, ৭শ› থেকে ৮শ› গ্রাম সাইজের ইলিশের দাম কেজিতে হাকা হচ্ছে ৮শ› থেকে ৯শ› টাকা।
স্বস্তির খবর আছে দেশি আর চাষের মাছের দামে। চাহিদা কম থাকায় এসব মাছের দাম কমেছে কেজিতে ২শ› টাকা পর্যন্ত। রাজধানীর মোহাম্মপুর টাউন হল, ফার্মগেট কাঁচা বাজার, কাওরান বাজার এবং কাপ্তান বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলি মার্কেট ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। সরবরাহ ভালো থাকলে সোয়ারি ঘাটের এই বাজারে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয় বলে জানান আড়ৎদাররা।
এদিকে, ভরা মৌসুমের দিকে নদী ও সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতে মাছের সরবরাহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীর। এ কারণে মাছের দাম কিছুটা কম বলেও দাবি করছেন তারা। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, এ বছর মাছের দাম বেশি। গতবারের তুলনায় সব ধরনের মাছের দাম দেড় থেকে দ্বিগুন। এ কারণে সারাবছরই ভোক্তাদের বেশি দাম দিয়ে মাছ কিনতে হয়েছে। কাপ্তান বাজারে মাসুম আলী ইলিশ মাছ কিনেছেন। তিনি বলেন, বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় ইলিশ মাছের সরবরাহ বেড়েছে। কিন্তু বড় আকারের মাছের দাম খুব বেশি। প্রতিটি ৬০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৮০০ টাকায়। এককেজি সাইজের প্রতিটি ইলিশ ১২শ’ থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি ইলিশ ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
তিনি জানান, ইলিশ মাছের পাশাপাশি দেশী জাতীয় অন্যান্য মাছের দাম চড়া। বিশেষ করে চিংড়ি মাছের দাম খুব বেশি। প্রতিকেজি চিংড়ি মানভেদে ৬০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।