পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ও চলমান সংকট উত্তোরণ এবং সংস্কারের জন্য কটাতে ‘আরএমজি সাসটেইনেবল সাস্টেইনইবিলিটি কাউন্সিল’ বা আরএসসি’র যাত্রা শুরু হয়েছে। ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার ভিত্তিতে ব্রান্ড, ট্রেড ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানি কারক সমিতি (বিজিএমইএ) সব এ নিয়ে পক্ষই সম্মত হয়েছে। গত ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর দু’দিন ব্যাপী আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যমতে পৌঁছেছ সকল পক্ষই। এর মাধ্যমে অ্যাকর্ড চলে যাওয়ার পরও এই কাউিন্সিল পোশাক কারখানাগুলোর পরিদর্শন, প্রতিকার, প্রশিক্ষণ এবং নিরাপত্তা-অভিযোগ প্রক্রিয়া দেখভাল করবে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এ বৈঠক শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এ সব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। এতে যৌথ ইশতেহার ঘোষণা করেন আরবিসি’র জেনারেল সেক্রেটারি জেড এম কামরুল আনাম।
বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, এই আরএসসি’র খসড়া আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। ক্রেতা, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের এই সমঝোতা আজ বিজিএমইএ’র জন্য খুশির দিন। আমরা ত্রি-পক্ষীয় আলোচনা করেছি। কোন রকম ঝামেলার মধ্যে না গিয়ে সমঝোতায় উপনীত হয়েছি। এক্ষেত্রে আমাদের মাথায় রাখতে হয়েছে-সকলেই একই সুরে, একইভাবে কাজ করতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সব সিদ্ধান্ত নেব। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন আইএলও আমাদের এই সমঝোতায় বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়েছে। ভয়, দ্বন্দ ইত্যাদিও বাইরে থেকে আলোচনায় যা কিছু থাকে সেগুলোর উর্দ্ধে উঠে কাজ করেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে রুবানা হক বলেন, আমরা সকলেই আরএসসি চালাব। আমরা এই আরএসসি’র প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তারা মেনে নিয়েছে। এই আরএসসি দুইভাবে কাজ করতে পারে। একটি হচ্ছে ফাউন্ডেশন গঠনের মাধ্যমে এবং অন্যটি কোম্পানির মাধ্যমে হতে পারে। যাই হোক আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে রেজিস্ট্রেশন করবো। আমাতের আইনগত বাইন্ডিং থাকবে। সরকারের সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে অনুদানপুষ্ট হয়ে কাজ করা হবে। আমরা পারস্পারিক আলোচনার মাধ্যমে এখন যে জায়গায় এসেছি খান থেকে পিছিয়ে আসার কোন সুযোগ নেই।
যৌথ ইশতেহারে বলা হয়েছে, অ্যাকডের স্টিয়ারিং কমিটির প্রতিনিধিরা এর আগে গত ৮ মে স্বাক্ষরিত স্মারক অনুসারে এই আরএসসি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় দু’দিনের এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেয়া পক্ষগুলো আগামী ২০২০ সালের মে মাসের মধ্যে অ্যাকর্ড এবং এর সব কার্যাবলীর একটি সাবলীল হস্তান্তর নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। আরএসসি প্রথমবারের মতো নেয়া একটি জাতীয় উদ্যোগ। যা দেশীয় শিল্প, ব্রান্ড এবং ট্রেড ইউনিয়নকে একত্রিত করে একটি সমন্বিত কমপ্লায়েন্স এর মানদন্ড নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে অধ্যবধি অর্জিত সাফল্যকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। পর্যায়ক্রমে এই আরএসসি শিল্প সম্পর্ক, কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত বিষয়গুলোকে নিজেদের কার্যপরিধির মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করবে।
ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, পক্ষগুলো সম্মত হয়েছে যে, তারা আরএসসি এর সংঘ স্মারক/ সংঘবিধি এবং এ্যাকড এর দায়িত্ব হস্তান্তর চুক্তি একটি নিদিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এক সঙ্গে প্রস্তুত করবে। বিজিএমইএ এবং এ্যাকোড গঠনমূলক আলোচনা অব্যাহত রাখতে এবং পোশাক শিল্পের কর্মপরিবেশ নিরাপদ রাখার উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।