Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩ গ্রামের শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

কোটালীপাড়ায় একটি সেতুর জন্য

কামরুল হাসান, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হাজরাবাড়ী সার্বজনীন গোবিন্দ মন্দিরের সামনে দক্ষিণ পাশের খালে স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও নির্মিত হয়নি একটি সেতু। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়ে স্কুল কলেজে যাচ্ছেন ৩টি গ্রামের শিক্ষার্থী ও শ’শ’ গ্রামবাসী। এছাড়াও সেতুটি না থাকায় গ্রামবাসী তাদের কৃষিপন্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহন করতে পারছেন না। 

কাজী মন্টু কলেজের ডিগ্রির ছাত্রী, দক্ষিণ হাজরাবাড়ী গ্রামের বিউটি সরকার, এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র উত্তর হাজরাবাড়ী গ্রামের অনিমেষ বাড়ৈ, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র টিকুরি বাড়ি গ্রামের সজিব বাড়ৈ বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে অনেক কষ্ট হয়, মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনার শিকারও হতে হয়। এখানে একটি সেতু একান্ত জরুরি।
স্থানীয় বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস, দিজেন্দ্রনাথ বাড়ৈ, মনিমোহন বাড়ৈ, রতন বৈরাগী, দিবেশ বাড়ৈ বলেন- দক্ষিণ হাজরাবাড়ী, উত্তর হাজরাবাড়ী, ও টিকুরি বাড়ি গ্রামের স্কুল কলেজে পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী ও শতশত লোক এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তাছাড়া খালের উত্তরপাড়ে এ অঞ্চলের সার্বজনীন একটি গোবিন্দ মন্দির রয়েছে। সেখানে প্রতি বছর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজারো দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে কিন্তু সবার আসতে হয় পুরানো বাঁশের সাঁকো দিয়ে। এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করার কারনে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকেই।
স্বাধীনতার ৪৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কেউ এগিয়ে আসেনি সেতুটি নির্মাণে, শুধু ভোট এলেই নেতাদের পা পড়ে এই এলাকায়, তখন ভোট আদায়ের জন্য সব কিছু করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তখন তাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা অঞ্চল, ভোট চলে গেলে আর নেতাদের দেখা যায় না। এভাবেই কেটে গেল ৪৮ বছর, কেউ কথা রাখেনি। হতভাগ্য এ অঞ্চলের মানুষের জীবনচিত্র কখনো বদলায় না।
এলাকাবাসীর দাবি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভোটার আমরা, তাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে সেতুটি নির্মাণের জোড় দাবি জানাচ্ছি।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ভীম চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, সেতুটি নির্মাণ করার চেষ্টা চলছে। উপজেলা প্রকৌশলী দেবাশীষ বাগচি বলেন, যেখানে সেতু প্রয়োজন সেখানে পর্যায়ক্রমে সেতু নির্মাণ করা হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ