Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পূর্বের কর্মঘণ্টায় কাজ করবো : কর্মকর্তা সমিতি পরিবর্তনে কারো মত নেই : ভিসি

ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়

ইবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

সকাল ৮ টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত ক্যাম্পাস সময়ের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতি। একইসাথে সপ্তাহে দু’দিনের পরিবর্তে একদিন ছুটি চান তারা। এই দাবিসহ তিন দফা দাবিতে তারা গত ডিসেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছেন বলে জানা গেছে। পূর্বের ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে গতকাল সোমবার ৫ম দিনের মত কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তারা। সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সভা করেছে প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি।

জানা যায়, অফিস সময় পরিবর্তন করে ৮টা থেকে দুপুর ২টা করা, চাকরির সময়সীমা ৬০ থেকে ৬২ বছরে উন্নীত করা এবং উপ-রেজিষ্ট্রারের বেতন ৫০ হাজার ও সহকারী রেজিষ্ট্রারের বেতন ৩৫ হাজার ৫০০ করার দাবি করেছে কর্মকর্তারা। গত ৩১ আগস্ট ২৪৬ তম সিন্ডিকেট সভায় বেতন স্কেল ও বয়স সীমার দাবি মেনে নেয়া হয়েছে বলে ভিসি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

একই সঙ্গে বয়স সীমার বিষয়টি ভিসি সুপারিশ করে প্রেসিডেন্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বেতন স্কেল বৃদ্ধির নীতিমালা প্রণয়নে সিন্ডিকেট তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে কর্মঘণ্টা নিয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলে মত পার্থক্য রয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে সকাল নয়টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত কর্মঘণ্টা চলছে। এতে দুইদিন ছুটি রেখে সপ্তাহে পাঁচদিন কাজ করতে হয় কর্মকর্তাদের। ফলে তারা সপ্তাহে সাড়ে ৩৭ ঘণ্টা কাজ করে থাকেন। এদিকে সপ্তাহে একদিন ছুটি রেখে সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত কর্মঘণ্টায় সপ্তাহে ৩৬ ঘণ্টা কাজ করতে হয় কর্মকর্তাদের। পরিবহন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহে দুইদিন ছুটি থাকায় বছরে বিশ^বিদ্যালয়ের কয়েক লাখ টাকা সঞ্চয় হয়। এদিকে কর্মঘণ্টা পরিবর্তনের পর অধিকাংশ বিভাগে সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত সেমিস্টার ও বর্ষের চ‚ড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এতে সেশন জট কমে শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে বলে দাবি প্রশাসনের। বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বেশি সময় গবেষণার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বর্তমান কর্মঘণ্টা পরিবর্তিনের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন।
শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, দুইবছর আগেই আমরা শিক্ষার্থীদের কথা বলে দেখেছি ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী কর্মঘণ্টা বৃদ্ধির পক্ষে। অধিকাংশ শিক্ষকরাও এর পক্ষে। কর্মঘণ্টা কাজে লাগাতে এটি অপরিবর্তিত রাখতে হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অর্থ সঞ্চয় হচ্ছে।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী গোলাম আজম বলেন, আগে আমাদের কম ক্লাস করে পরীক্ষা দিতে হতো। অনেক সময় কোর্স শেষ হতো না। কর্মঘণ্টা বৃদ্ধির ফলে সেশনজট কমেছে। এতে শিক্ষার্থীদের উপকার হচ্ছে।
কর্মকর্র্তা সমিতির সভাপতি শামসুল ইসলাম জোহা বলেন, ‘অধিকাংশ ডিপার্টমেণ্টে দুইটার পর ক্লাস হয় না। অর্ধশত শিক্ষক ঢাকায় থাকেন। সপ্তাহে দুইদিন আসেন। অথচ কর্মকর্তারা একটু দেরীতে আসলে তাদের শো-কজ, সাসপেন্ড করা হয়। আমাদের গার্মেণ্টস শ্রমিকদের মত অবস্থা হয়েছে।’
ভিসি অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, কর্মকর্তাদের অন্য দাবি দুটি মেনে নেয়া হয়েছে। এর জন্য নীতি মালা প্রনয়নের কাজ চলছে। কর্মঘণ্টার বিষয়ে আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবক ও কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। এটি পরিবর্তনের বিষয়ে তারা ছাড়া আর কারো মত নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ