পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
শেষ পর্যন্ত ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার হলেন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার মির্জা সাইফুর রহমান। গতকাল সোমবার জাহাজ মালিক মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে গ্রেফতার করে।
সংস্থার সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত জানান, গতকাল সকাল পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর বিআইডবিøউটিএ ভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এম এস শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার মনিরুজ্জামান ঢাকার সদরঘাট বন্দরের কর্তব্যরত নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার মির্জা সাইফুর রহমানকে এম. ভি. খাদিজাতুল মকোবরা নামীয় নৌযান সার্ভে করতে অনুরোধ করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা সাইফুর জাহাজটি সার্ভে করে ফিটনেস সনদ দেয়ার জন্য সরকারিভাবে অনলাইন সার্ভের আবেদন করতে বলেন।
কাজটির জন্য ৩ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা ছাড়া তিনি তার জাহাজের সার্ভে করতে পারবেনÑ মর্মে তিনি সাফ জানিয়ে দেন। উপায়ন্ত না দেখে মনিরুজ্জামান ২ লাখ টাকা দিতে রাজী হন। অভিযোগকারী জাহাজটি সার্ভে করার জন্য চলতিবছর ২৩ জুন অনুমিত আয়কর ও কঞ্জারভেন্সি জমা দেন। তবে দাবিকৃত টাকা না দেয়ার কারণে মির্জা সাইফুর সার্ভে করেননি।
বিষয়টি মনিরুজ্জামান দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে অবহিত করেন। দুদক বিষয়টি হাতেনাতে ধরার জন্য ‘ফাঁদ’ পাতার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল মনিরুজ্জামান সাইফুরের দাবিকৃত ২ লাখ টাকা নিয়ে বিআইডবিøউটিএ ভবনের ৮ম তলায় চলে যান।
ঘুষের টাকা গ্রহণকালে ওই অফিসে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা দুদক টিমের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেন। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে মামলা করেন। গ্রেফতার অভিযানে অংশ নেয় ১০ সদস্যের একটি টিম। এতে নেতৃত্ব দেন দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
উল্লেখ্য, প্রায় ৩শ’ যাত্রী নিয়ে পদ্মায় ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ লঞ্চের নকশা জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন মির্জা সাইফুর। এ ঘটনায় দুদক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। বিআইডবিøউটিএ তাকে বরখাস্ত করে। কিন্তু বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের তৎকালিন ডিভিশন বেঞ্চ থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে মির্জা সাইফুর চাকরিতে বহাল হন। অন্যদিকে একের পর এক কর্মকর্তা পরিবর্তন হলেও দুদকের অনুসন্ধানটি ধামাচাপা পড়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।