রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গাজীপুর মহানগরীর ফেউচারগাড়া বিলে ও তুরাগ নদীতে দু’টি সেতু না থাকায় এ এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। পাকা সড়ক থাকলেও শুধু সেতু না থাকার কারনে যান চলাচল করতে পারছে না। এমতাবস্তায় দুটি সেতু নির্মাণের দাবি এ এলাকার মানুষের।
গাজীপুর মহানগরীর নাওজোড় হতে কাশিমপুর হয়ে জিরানি বাজার পর্যন্ত দীঘ ১২ কিলোমিটার সড়ক পাকা থাকলেও সেতুর অভাবে এখানকার জনসাধারণ রয়েছে দুর্ভোগে। সেতু না থাকায় এখানকার মানুষ ও যানবাহন সরাসরি চলাচল করতে পারছে না। ভুক্ত ভোগিরা জানিয়েছেন, সেতু দু’টি নির্মাণ হলে এখানকার মানুষের যাতায়াত ও যোগাযোগ সহজতর হতো।
এ এলাকার মানুষের চলাচলের পাকা সড়কটির ভাঙা ব্রিজ সংলগ্ন ফেউচারগাড়া বিলে এবং তুরাগ নদীতে দুটি সেতু নির্মাণ করা হলে এলাকার জনসাধারণ জেলা শহরসহ রাজধানী ঢাকা ও জিরানি বাজার হয়ে সাভার- নবীনগর সড়কে উঠে নিদিষ্ট জায়গায় সহজে পৌছাতে পারবেন।
এছাড়া শিল্পনগরী কোনাবাড়ি এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এড়িয়ে এ সড়ক ব্যবহার করলে জনসাধারণ অতি সহজে নিজ গন্তব্যে পৌছাতে পারবে বলে মনে করেছেন সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা যায়, গাজীপুর মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক পয়েন্ট চান্দুনা চৌরাস্তার অল্প পশ্চিমে ঢাকা বাইপাস সড়কের নাওজোড় থেকে পশ্চিম অভিমুখী সড়কটি কাশিমপুর হয়ে সাভার-নবীনগর সড়কের জিরানি বাজারে গিয়ে মিশেছে। নাওজোড় থেকে বাজার পর্যন্ত সড়কটির দৈঘ্য প্রায় ১২ কিলোমিটার।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জাইকা প্রজেক্টের আওতায় সড়কটির উন্নয়ন ও ভাঙা ব্রিজ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার ইতোমধ্যে পাকা হয়েছে।
তবে সড়কটির ভাঙা ব্রিজ সংলগ্ন ফেউচারগাড়া বিলে এবং তুরাগ নদীতে কোনো সেতু না থাকায় সড়কটি দিয়ে সরাসরি মানুষ কিংবা যানবাহন চলাচল করতে পারছেন না। এখানকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সেতু দু’টি নির্মাণের দাবি করে আসলেও তা নির্মাণ হচ্ছে না।
সেতু দু’টি না থাকায় সড়ক পাকা থাকলেও এলাকাবাসীর স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে কাশিমপুর ও অন্যান্য জায়গা হতে মানুষ নৌকা যোগে ভাঙা ব্রিজ পর্যন্ত এসে এখান থেকে জেলা শহরসহ বিভিন্ন গন্তব্য পৌঁছতে হয়।
অথচ ফেউচারগাড়া বিলে ১৫০ মিটার ও তুরাগে ৪০০ মিটার দীর্ঘ দু’টি সেতু নির্মাণ করা হলে দুর্ভোগ পোহাতে হতো না বরং এতে সড়টির গুরুত্ব যেমন বৃদ্ধি পেত তেমনি এই সড়ক হয়ে উঠত হাজার হাজার মানুষের সহজ যাতায়াতের মাধ্যম।
মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য নদী বাঁচাও আন্দোলনের নেতারাও সেতু দু’টি নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, সেতু দু’টি নির্মিত হলে অতি সহজে এবং অল্প সময়ে জেলা শহরে যাতায়াত করতে পারতো মানুষ।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে জাইকা প্রজেক্টের আওতায় সেতু দু’টি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী বছরে সেতু দু’টির নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।