রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ময়মনসিংহের নান্দাইলে আশরাফ চৌধুরী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের আওতাধীন উপজেলার মোয়াজ্জেমপুরে আশরাফ চৌধুরী ফাজিল মাদরাসাটি বর্তমান অধ্যক্ষের কারণে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এসে পৌঁছেছে। এক সময়ের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ধুকে ধুকে মরছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক, এলাকাবাসী ও ট্রাস্ট্রিরা।
জানা যায়, আশরাফ চৌধুরী ফাজিল মাদরাসায় দাখিল পর্যায়ে ২০০৪ সনে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি এবং জেনারেল মেকানিজ ভোকেশনাল ট্রেড অনুমতি লাভ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন নির্বাচিত মাদরাসায় দাখিল (ভোক) প্রবর্তন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আশরাফ চৌধুরী ফাজিল মাদরাসা ১১টি কম্পিউটারসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সরকারিভাবে গ্রহন করেন মদরাসার অধ্যক্ষ মনজুরুল হক হাসান। মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফ সেক্রেটারি টেবিল ৬টি, উডেন টেবিল ৪টি, উডেন চেয়ার ৮টি, উডেন টুল ৪০টি, ওয়ার্কসপ/ল্যাব টেবিল ৬টি, বøাক বোর্ড ৪টি, স্টিলকশন চেয়ার ৬টি, স্টিল আলমিরা ৪টি ও স্টিল ফাইল কেবিনেট ২টিসহ ১১ টি পুর্ণাঙ্গ কম্পিউটার ইনফরমেশান সলিউশান লি. ঠিকাদারের চালানে গত ২৪.০৫.২০০৬ ইং তারিখে গ্রহন করেন।
এছাড়া একই সময়ে জেনারেল মেকানিজ ট্রেড কোর্সের জন্য ছোটবড় ২টি লেদ মেশিন গ্রহন করে। মাদরাসাটি অচল অবস্থার কারণে ক্ষোভ দেখা দেয় এলাকাবাসী ও অভিভাবক মহলে। বর্তমান অধ্যক্ষ মনজুরুল হক হাসান অত্র মাদরাসায় যোগদানের পর থেকে শিক্ষারমান নিন্মমুখী। এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। ভোকেশনালের পাশাপাশি জেনারেল বিভাগেও শিক্ষার মান তথৈবচ।
বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার সরজমিনে দেখা যায়, অধ্যক্ষসহ শিক্ষকদের অনেকেই অনুপস্থিত। ছাত্র/ছাত্রীরা এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন ছাত্র/ছাত্রী জানায়, নিয়মিত ক্লাশ না হওয়ার কারণে এই অবস্থা এবং অনেক ছাত্র/ছাত্রী মাদরাসায় অনুপস্থিত।
এ বিষয়ে মাদরাসা কমিটির সভাপতি আবদুল মালেক চৌধুরী স্বপন বলেন, ভোকেশনাল ট্রেড শাখায় কোন শিক্ষক নিয়োগ না দেয়ায় দীর্ঘদিন এসব ব্যাবহার হয়নি, তাই এগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
ভোকেশনাল ট্রেডের ১১টি কম্পিউটার এবং ২টি লেদ মেশিন সর্ম্পকে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ জানান, ট্রেড শাখার কোন শিক্ষক না থাকায় কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি এবং জেনারেল মেকানিজের কোন ক্লাশ নেয়া হয় না। তবে জেনারেল বিভাগের ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে ক্লাশ নেয়া হয়। নবম ও দশম শ্রেণীতে ভোকেশনালের কোন ছাত্র/ছাত্রীর উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। লেদ মেশিন ২টি ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ১৩ বছর ধরে অযত্ম আর অবহেলায় মাদরাসার সিঁিড়কোটার নিচে পড়ে আছে। যা একদিনের জন্যও ব্যবহৃত হয়নি। কম্পিউটারগুলো দেখতে চাইলে নির্দিষ্ট একটি অন্ধকার কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদরাসা সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানায়, প্রাপ্ত কম্পিউটারগুলো ভেতরে কোন পার্টস ছাড়াই খালি বক্স পড়ে আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।