Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোপা আমন চাষ ব্যাহত

লালপুরে অনাবৃষ্টি

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

নাটোরের লালপুর উপজেলায় বৃষ্টির অভাবে রোপা আমনের চাষ ব্যাহত হচ্ছে। ধান রোপনের পর থেকে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এই উপজেলার প্রায় ৭হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন চাষ এখন হুমকির মুখে পড়েছে। প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের জমি গুলি শুখিয়ে মাটি ফাটতে শুরু করেছে সেই সাথে বেড়েছে পোকার আক্রমন। অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে সম্পূরক সেচ দিচ্ছে তবে তাতেও উপকার মিলছেনা, ফলে দিশে হারা হয়ে পড়েছেন এই উপজেলার ধান চাষীরা। 

রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, লালপুর উপজেলার মুরদাহবিল, চকনাজিরপুর, ওয়ালিয়া ও বড়ময়া গ্রামের ধানের জমি ঘুরে দেখা গেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের জমি গুলি শুখিয়ে মাটি ফেটে গেছে। অনেক জমির ধান বিবর্ণ রুপ ধারন করেছে। কোনো কোনো জমির ধান মরতে শুরু করেছে।
ওয়ালিয়ার ধান চাষী নাইামুর রহমান বলেন, ‘ঈদের আগে বৃষ্টির পানিতে ধান রোপন করেছি। টানা ১৫ দিন বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের জমি ফেটে গেছে, ধানে মাজরা সহ বিভিন্ন পোকার আক্রমন বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, সেচদিয়েও তেমন উপকার হচ্ছেনা।’
ছোটাময়না গ্রামের ধান চাষী আকতারুজামান ভাসা বলেন, ‘অনাবৃষ্টি ও তীব্রখরায় ধানের জমি শুখিয়ে গেছে। ধান বাঁচাতে বাধ্য হয়ে বিঘা প্রতি ৬শ টাকায় সম্পূরক সেচ দিয়েছি। দুইদিন পরেই আবারো জমি শুকিয়ে যাচ্ছে।’
হাসিবুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেনসহ স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, ‘মৌসুমের প্রায় শেষ সময়ে সামান্য বৃষ্টিতে ধান রোপনের পর থেকে তীব্র খরা ও অনাবৃষ্টির কারনে ধান গাছ ঠিকমতো বৃদ্ধি হচ্ছেন। প্রায় জমি শুখিয়ে ধান গাছ গুলি বিবর্ণ হয়েগেছে। তারা আরো বলেন, এবছর মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় এমনিতেই ধান রোপন করতে দেরি হয়েছে। আবার অনাবৃষ্টি দেখা দিয়েছে এমন হলে ধান আর হবে না। অধিক টাকা খরচ করে সেচদিয়েও উপকার পাওয়া যাচ্ছে না।’
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে চলতি মৌসুমে লালপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে ধান রোপনের লক্ষমাত্রা থাকলেও চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম অনাবৃষ্টির কথা স্বিকার করে দৈনিক ইনকিলাব কে বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় কিছু কিছু জমির পানি শুখিয়ে গেছে, তবে কৃষকদের সম্পূরক সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বৃষ্টিপাত হলে কোনো সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ