পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি করতে পারলেই বিজয় আসবে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের যে রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, মানুষের রাজনীতি, গণমানুষের রাজনীতি এবং যে রাজনীতির পতাকা বেগম খালেদা জিয়া তুলে নিয়ে বেড়িয়েছেন দীর্ঘকাল এবং কারাগারে রয়েছেন ওই রাজনীতি জন্যে। সেই রাজনীতি হচ্ছে আমাদের রাজনীতি। আমরা আমাদের এই রাজনীতিকে যদি সঠিক পথে নিতে পারি, যদি আরো বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি করতে পারি, শুধু জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) নয়, অন্যান্য সমস্ত দেশপ্রেমিক দলগুলোকে যদি এক করতে পারি তাহলে অবশ্যই বিজয় আমাদের আসবেই আসবে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভাসানী অনুসারী পরিষদের উদ্যোগে কাজী জাফর আহমদের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মানুষের মাঝে আছি, মানুষের রাজনীতি করি, বাংলাদেশের জনগণের রাজনীতিই আমাদের রাজনীতি। আমরা কখনো পরাজিত হই নাই। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির রাজনীতিও কখনো পরাজিত হয়নি। খারাপ সময় এসেছে, আমরা নিচের দিকে গেছি, সংকট এসছে কিন্তু সেই সংকট থেকে আমরা ফিনিক্স পাখির মতোই জেগে উঠেছি। তিনি বলেন, এখন চরম সংকটময় মূহুর্ত চলছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো সংকটময় মূহুর্ত কখনো এসেছিলো বলে আমার কাছে মনে হয় না। একাত্তর সালের যুদ্ধে রক্তের মাধ্যমে অর্জিত সমস্ত অর্জনগুলো ধবংস করে দেয়া হয়েছে। এখন গণতন্ত্রের কথা যেটা বলেন ক্ষমতাসীনরা একেবারেই মিথ্যা কথা বলেন। জনগণের সাথে তাদের কোনো সম্পর্কই নেই, বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং তারা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার ব্যবস্থা দলীয়করণের কারণে গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রটাই ভেঙ্গে পড়েছে। আজকে বাংলাদেশ অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে চলে গেছে। এটা ফেইলড স্টেট হয়ে গেছে।
অর্থনীতিতে লুটপাট চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, যে বাজেট দেয়া হয় তাতে মানুষের পকেট খালি করে। এমনভাবে বাজেট ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করে চোরে আরো বড় চোর হয়, লুটেরা আরো বড় লুটেরা হয়। ব্যাংকগুলো ফোকলা করে দিয়েছে, শেয়ার মার্কেট কিচ্ছু নেই ধবংস করে দিয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন তিনি জানেনই না ডেঙ্গুতে কত জন মারা গেছে। আপনি যদি মফস্বল, থানা কমপ্লেক্সে যান আপনার মনে হবে না এদেশে কোনো সরকার আছে। হাসপাতালগুলো নোংরা, ভেঙে পড়ছে, খসে পড়ছে সেই জায়গায় কোনো মতে রোগীরা বিছানা নিয়ে আছে। শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসঙ্গ টেনে ফখরুল বলেন, ব্যাঙের ছাতার মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাঙের ছাতার মতো মেডিকেল কলেজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ ছাত্র বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আছেন তার একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড কি আমরা সবাই দেখি-এটা আমরা চিন্তুাও করতে পারি না। এই সমস্ত লোকেরা আমাদের শিক্ষার গুরু হয়েছেন। কথা শুনলে মনে হয় না কোনো কোনোরকমের শিক্ষা-সংস্কৃতি তাদের মধ্যে রয়েছে।
রোহিঙ্গা সমস্যা ভয়াবহ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে। যে যা কিছু হারায় গিন্নী বলে কেস্টা বেটাই চোর। কিছু করতে না পেরে এখন বলেন, আমরাই নাকী দায়ী। সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আপনারা যাওয়ার জন্য এতটুকু ব্যবস্থা করতে পারেন নাই, যারা নেয়ার ব্যবস্থা করবে তাদের সঙ্গেই তো আন্ডারস্ট্যাডিং করতে পারেন নাই, আপনারা কোনো আন্তর্জাতিক আবহাওয়া তৈরি করতে পারেন নাই। যে আন্তর্জাতিক কোনো চাপ মিয়ানমারেরে উপরে পড়ে তারা রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাবে। উপরন্তু যারা চাপ দেবে তারা সব মিয়ানমারের পক্ষে।
সরকারের উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেণ, রোহিঙ্গা সমস্যার ব্যাপারে একটা জাতীয় কনভেনশন ডাকা হোক। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে এক করে বাংলাদেশ যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একমত এটাকে প্রকাশ করা হোক। তাহলে আপনারা বিশ্ব দেন-দরবার করে মিয়ানমারকে পরাজিত করতে পারবেন। অবিলম্বে নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিও করেন মির্জা ফখরুল।
সংগঠনের সভাপতি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কাজী নজরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নঈম জাহাঙ্গীর, বিএনপির শামসুজ্জামান দুদু, জহির উদ্দিন স্বপন, পিপলস পার্টির রিটা রহমান প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।