Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফুলপুরে প্রেমিকার লাশ রেখে পালানো প্রেমিক আটক!

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ময়মনসিংহের ফুলপুরে পুলিশের জালে ধরা পরেছে সাবিনা ইয়াসমিন (১৭) নামের এক প্রেমিকার লাশ ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে পালিয়ে যাওয়া কথিত প্রেমিক কামরুল ইসলাম ও তার পিতা আ. বারেক পুলিশের জালে ধরা পরেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেন। এর আগে গ্রেফতার হন প্রেমিক কামরুলের মা ফিরুজা খাতুন।

জানা যায়, ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে কামরুল ইসলাম ও একই জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার কুমুরিয়া গ্রামের লিয়াকত আলী খার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন গাজীপুর কোণাপাড়া রোডে একটি গার্মেন্টসে কাজ করতো। সে সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের সূত্রধরে গত মঙ্গলবার প্রেমিকা সাবিনাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফোন করে প্রেমিক কামরুল নিজ বাড়ি ফুলপুরে ধীতপুর গ্রামে নিয়ে আসে। সেখানে মঙ্গলবার রাতে সাবিনা রহস্যজনক কারণে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বুধবার সকালে প্রথমে ফুলপুরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দিয়ে নিয়ে যায়। গত বুধবার রাত সাড়ে ১০ টায় আবার সাবিনাকে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সংবাদ শুনে মা ফিরোজা খাতুনকে রেখে প্রেমিক কামরুল ও অন্যরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ এনে প্রেমিক কামরুল ইসলাম, তার পিতা আ. বারেক, মা ফিরুজা খাতুন ও ভগ্নিপতি হায়াতুল্লাহসহ অজ্ঞাত নামা আসামি দিয়ে সাবিনার পিতা লিয়াকত আলী খা বাদি হয়ে ফুলপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সাথে সাথে প্রেমিকের মা ফিরুজা খাতুনকে গ্রেফতার করলেও প্রেমিক কামরুলসহ অন্যরা পালিয়ে যায়।
ফুলপুর থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজীর নেতৃত্বে পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালিয়ে অবশেষে ঘটনার ২৪ ঘন্টার মাঝেই মামলার মূল আসামি প্রেমিক কামরুল ইসলাম ও তার পিতা আ. বারেককে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ৩ আসামিকে গতকাল শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ফুলপুর থানার ওসি ইমারত হোসেন গাজী বলেন, মামলার মূল আসামি প্রেমিক কামরুল, তার পিতা আঃ বারেক ও মা ফিরুজাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ