Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। এদিন সকালে ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদুল জামিয়া সংলগ্ন কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।

কবি নজরুলের মৃত্যুবার্ষিকীতে বাদ ফজর ঢাবি কেন্দ্রীয় মসজিদে আয়োজন করা হয় কোরানখানির। সকাল সোয়া ৭টায় ঢাবি ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি দল শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিতে গমন, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান সংগঠনটির একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

জাতীয় কবি হিসেবে নজরুলের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির বিষয়ে সংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় কবি হিসেবে তিনি গ্রহণযোগ্য ও সমাদৃত। এটা মুখের কথা নয়, এটা আমাদের বিশ্বাসে, আমাদের প্রতিটি কর্মেই আমরা প্রমাণ করছি। তার স্বপ্নকে ধারণ করছি এটাই বড় কথা। জাতীয় কবি হিসেবে তাকে সম্মান করছি, শ্রদ্ধা করছি এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের শপথ নিতে হবে। জাতীয় কবি আমাদের যে বিদ্রোহ শিখিয়েছেন, সেই বিদ্রোহে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করব।’
পরে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে ভিসির সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন নজরুল গবেষক ও জাতীয় প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দীন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সামাদ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারপারসন টুম্পা সমদ্দার প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি ভিসি বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন মানবতার কবি, সাম্যের কবি, অসাম্প্রদায়িক চেতনার কবি, জাগরণের কবি। তাঁর বহুমাত্রিক সাহিত্য প্রতিভার মর্মমূলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রস্ফুটিত হয়েছে। বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতি বিনির্মাণে তাঁর সৃষ্টিকর্ম সব সময় আমাদের প্রেরণার উৎস।
এছাড়া কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাবির বিভিন্ন হল, ডাকসু, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় কবিতা পরিষদ, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস), বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যুবার্ষিকী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ