পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পৃথিবীর অন্তত ২০ ভাগ অক্সিজেন উৎপাদনকারী অ্যামাজন বন যদি হয় পৃথিবীর ফুসফুস তাহলে সুন্দরবন হলো বাংলাদেশের ফুসফুস। এ মন্তব্য করেছেন হাইকার্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। সুন্দরবনের পরিবেশগত সঙ্কটাপন ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে তরল গ্যাস বোতলজাতকরণ প্রকল্পের পরিবেশগত ছাড়পত্র নিয়ে এলপিজি কারখানা স্থাপনে পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য করা পৃথক তিনটি আবেদন শুনানিকালে আদালত এ মন্তব্য করেন। আদালত আরো বলেন, আজ অ্যামাজন পুড়ছে। বিশ্বের মানুষ অ্যামাজনকে রক্ষায় সচেষ্ট। অ্যামাজন যেমন পৃথিবীর ফুসফুস ঠিক তেমনই সুন্দরবন আমাদের ফুসফুস। তাই সুন্দরবনকে রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। মন্তব্যের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবনকে দেশের ফুসফুস উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, অ্যামাজন যেমন পৃথিবীর ফুসফুস, ঠিক তেমনই সুন্দরবনও আমাদের ফুসফুস।
সরকারি এই আইনজীবী জানান, এলপিজি কারখানা স্থাপনে পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য করা পৃথক তিনটি আবেদনের বিষয়ে জারি করা রুল চূড়ান্ত করে সুন্দরবনের মংলা এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্প এলাকায় বোতলজাত এলপিজি উৎপাদনের জন্য রিটাকারী কোম্পানিকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণে সুন্দরবনের প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকায় কতগুলো শিল্প কারখানা হবে সেটা নির্ধারণ করবে সরকার। ভবিষ্যতে সঙ্কটাপন্ন এলাকায় নতুন শিল্প স্থাপন বন্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে এ রায় বাধা হবে না বলেও পর্যবেক্ষণ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে এলপিজি কারখানা স্থাপনে পরিবেশগত ছাড়পত্র পেতে আবেদন করে তিনটি কোম্পানি। সরকারের অপরাপর প্রতিষ্ঠানের অনুমতি পেলেও পরিবেশগত ছাড়পত্র পাচ্ছিল না তারা। পরে ২০১৮ সালের অক্টোবরে এলপিজি কারখানা স্থাপনে পরিবেশগত ছাড়পত্র না পাওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করে টিএমএমএস-সহ অন্যান্য কোম্পানি। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে গতকাল এ রায় ঘোষণা করে। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। সরকারপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
শুনানিতে ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, টিএমএমএস একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তারা পরিবেশগত ছাড়পত্র নিয়ে বোতলজাত এলপিজি কারখানা করতে চায়। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর ছাড়পত্র দিচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।