রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নড়াইল-কালিয়া সড়ক সংস্কারে সংশ্লিষ্টদের যোগসাযোশে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ২৫ কিলোমিটার সড়কের সংস্কারের জন্য সড়ক বিভাগ প্রায় ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। জেভিতে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) কাজ করছেন রানা বিল্ডার্স, এমএম বিল্ডার্স ও ইডেন প্রাইজ। নড়াইলের সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের নিম্নমানের কাজ বন্ধ পূর্বক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের প্রত্যাহার করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, চরম দুর্নীতি অনিয়মের মধ্য দিয়ে এ সড়কের সংস্কারের কাজ চলছে। ১ এফএম বালু দেয়ার কথা থাকলেও .০২ এফএম বালু দেয়া হচ্ছে। নম্বর বিহীন ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। লেয়ার না করে রাস্তার পাশে নিম্নমানের খোয়া ও বালু ফেলে সম্প্রসারন বেড বৃষ্টির পানিতে কম্পাকশন করা হচ্ছে। কোন রোলারই ব্যবহার করা হচ্ছে না। যার কারণে কম্পাকশনই হয়নি। রাস্তার দু’পাশের মাটি কেটে সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাইরে থেকে মাটি এনে দেয়ার কথা থাকলেও সে নিয়ম মানা হচ্ছে না। অথচ, অন্যত্র থেকে মাটি এনে দেয়া বাবদ প্রায় ৪ কেটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যৌথ নির্মাণকারী ৩টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মূলত: এ কাজটি করছেন নড়াইলের ইডেন প্রাইজের মালিক রেজাউল আলম ওরফে জার্মান আলম। সূচতুর ঠিকাদার জার্মান আলম সড়কের পাশ থেকে মাটি কেটে রাস্তার দু’পাশে দিয়ে দায়সারাভাবে কাজ করছেন। রাস্তার দু’পাশের বক্স কাটিংয়ের মাটি দিয়েই সাইড লেভেলিং করা হচ্ছে। এ বাবদ প্রায় কোটি টাকাও ধরা আছে। কিন্তু ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী যোগসাযোশে সিডিউলের নিয়মনীতির তোয়াক্কাই করছেন না। সে কারণে এ সড়কে খুব নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। অপরদিকে, নির্বাহী প্রকৌশলী ও ঠিকাদার ফিফটি ফিফটি ভাগে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে কয়েক কোটি টাকা জায়েজ করার চেষ্টায় আছে।
এ ব্যাপারে তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও খুলনার অতিরিক্ত প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়। তবে রহস্যজনক কারণে তারা বিষয়টি চেপে গিয়েছেন বলে তাদের কর্মকান্ডে প্রতিয়মান হয়। এবিষয় নড়াইলবাসী ইতোমধ্যে প্রধান প্রকৌশলী ও সচিব এর নিকট অভিযোগ করেছেন বলে জানা যায়। ওই ঠিকাদার রেজাউল আলম ওরফে জার্মান আলম চিহ্নিত বিএনপি নেতা হলেও সরকার দলীয় এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এহেন অনিয়ম ও দুর্নীতি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে। এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সড়কের কাজটি যথাযথ কর্র্তৃপক্ষকে সিডিউল মোতাবেক করার তাগিদ দেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা সন্দেহজনক।
এ সড়কের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে নড়াইলবাসী নড়াইল-২ আসনের এমপি ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মোর্তজা এবং দুদক কমিশনার এফএম আমিনুল ইসলামের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয় ঠিকাদার রেজাউল আলম ওরফে জার্মান আলম বলেন, ‘ওই রাস্তায় নম্বর বিহীন কোন ইট ব্যবহার করা হচ্ছে না। আপাতত সড়কের সম্প্রসারণ জায়গায় ছোট রোলার দিয়েই কম্পাকশন করা হচ্ছে। অসুস্থ ঠিকাদাররা আমার বিরুদ্ধে অহেতুক মিথ্যা অভিযোগ করছেন। সিডিউল মোতাবেক নড়াইল-কালিয়া সড়কের কাজ করা হচ্ছে। কোথাও কেউ অনিয়ম দেখাতে পারলে আমি তখনই কাজ বন্ধ করে দেবো। এ পর্যন্ত ৫% কাজ হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে নড়াইলের সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘যে টুকু কাজ হয়েছে, তা সন্তোষজনক। পরবর্তী কাজ শুরুর আগে গুনগতমানের আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নহে। সিডিউল মোতাবেক কাজ বুঝে নেয়া হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।