Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

উদ্বোধনের আগেই ভৈরব সেতুতে ফাটল

জনমনে আতঙ্ক

নজরুল ইসলাম মল্লিক, অভয়নগর (যশোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদে ৭৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে অভয়নগরবাসীর বহু প্রত্যাশিত স্বপ্নের ভৈরব সেতু। ১৫ টি পিলারের কলামের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ৭০২.৫৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৮.১ মিটার প্রস্থ এই সেতুটি। ২০১৫ সালের জুন মাস থেকে শুরু হয় এই সেতুটির নির্মাণ কাজ। ম্যাক্স র‌্যাংকিং জয়েন্ট ভেঞ্চার নামক প্রতিষ্ঠানটি এই সেতুটির নির্মাণ কাজ চলতি সালের জুন মাসে এসে শেষ করে। বর্তমানে সেতুটি উদ্বাধনের অপেক্ষায় রয়েছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুটির উপরি অংশের মাঝ বরাবর ৩-৪টি ফাঁটল দেখা দিয়েছে। ফাঁটলকৃত জায়গায় সেতু কর্তৃপক্ষ পুনরায় সিমেন্ট-বালির প্রলেপ দিয়ে নকশা অঙ্কন করে ফাঁটলের চিহ্ন আড়াল করার চেষ্টা করেছে। যদিও প্রকৌশল বিভাগ ও ব্রিজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে ওয়্যারিং কোর্সে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। যা সঠিকভাবে সংস্কার করা হয়েছে। তবে অভিজ্ঞজন এ দাবি মানতে নারাজ। এছাড়া এ্যাপ্রোচ রোডের কমপেকশন মজবুত না হওয়ায় রোড ডিভাইডারের পাশে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে এ্যাপ্রোচ রোডের স্থায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে ভৈরব সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর ব্রিজের দুপাশের বøক সরিয়ে নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কাজ চলমান রয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি নির্মিত সেতু থেকে বøক উঠিয়ে পুনরায় তা প্রতিস্থাপন করা হলে, বøক দূর্বল হয়ে ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভৈরব সেতুটি দেখতে আসা অনেক দর্শনার্থী আতংকিত হয়ে বলছেন- উদ্বোধনের আগেই যদি এই অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাহলে সেতুটির ভবিষ্যৎ কী হবে? ভৈরব সেতু দেখতে আসা স্কুল শিক্ষক নার্গিস আক্তার লিপি জানান- বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভৈরব সেতুটিতে যে ফাঁটল দেখা দিয়েছে, তা দেখে আমরা অত্যন্ত চিন্তায় পড়েছি। সেতুটি নির্মাণ করে আমাদের কি লাভ হলো? উদ্বোধনের আগেই যদি সেতু ফেটে যায়, তাহলে অভয়নগরবাসীর কি হবে? অভয়নগর উপজেলার দুই পাড়ের লাখলাখ মানুষের কি উপকারে আসবে? বিষয়টি সম্পর্কে ভৈরব সেতুর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম জানান- সেতুতে ফাটল দেখা দেয়নি। তবে ব্রিজের জলছাদের কিছু কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে, যা আঠা দিয়ে ঠিক করা হয়েছে। অভয়নগর উপজেলা প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বলেন- অতিরিক্ত তাপমাত্রার মধ্যে ওয়্যারিং কোর্সের কাজ করার কারণে সেটি কোথাও কোথাও ফেটে গেছে। এই ফাটা অংশগুলোকে বঙ্গবন্ধু সেতুতে যেভাবে রিপেয়ার করা হয়েছে, আমরা সেভাবেই এই সেতুতে রিপেয়ার করে দিয়েছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ