পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি-জামায়াতকে পাকিস্তানের ‘প্রেতাত্মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পরাজিত এই শক্তিকে নির্মূল করেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ‘স্বাধীনতার পাঠক’ আখ্যা দিয়ে হানিফ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেননা। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক মাত্র। এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন সত্যি। তবে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নয়, বরং পাকিস্তানের চর হিসেবে এবং অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তা তিনি পরবর্তী কর্মকান্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করে গেছেন। তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে কারাবন্দী যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। খুনীদের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূতসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করেন। প্রকৃতপক্ষে এই দেশকে পুনরায় পাকিস্তানের প্রদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেই কাজ করেছিলেন তিনি। বেগম খালেদা জিয়াও তার স্বামীর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর খুনী এবং পাকিস্তানের দোসর যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসন করেন। তাদের হাতে পাতাকা তুলে দেন। একই ধারা অক্ষুন্ন রেখে তাদের সন্তান তারেক রহমান ছাত্রদল ও শিবিরকে একই মায়ের পেটের দুই ভাই বলে স্বীকৃতি দেন। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীনতার শত্রু।’
বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘আজকে গণতন্ত্র হরণের কথা বলা হচ্ছে। কিসের গণতন্ত্র? জীবন্ত মানুষকে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে মারার নামই কি গণতন্ত্র? আগুন সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা যাবেনা, সেটার নামই কি গণতন্ত্র? এতিমের টাকা লুটে পুটে খেলে বিচার করা যাবেনা তার নামই কি গণতন্ত্র? খালেদা জিয়ার পুত্র দন্ডপ্রাপ্ত আসামী বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাবে কিন্তু কিছু বলা যাবেনা সেটাই কি গণতন্ত্র?’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামায়াতকে নির্মূল করেই বঙ্গবন্ধুর সোনারবংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আট প্রতিষ্ঠানকে ১৪০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আট প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন’।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টসহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ কোটি টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।
এছাড়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতি জাদুঘরকে ১৫ কোটি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কে পি জে বিশেষায়িত হাসপাতাল ১০ কোটি এবং ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টকে ১০ কোটি টাকা অনুদান দেন।
এ সকল প্রতিষ্ঠান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টকে ৫ কোটি টাকা অনুদান দেন বলে প্রেস সচিব জানান।
ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে এ সভায় আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।