পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জনগণের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে যারা দেশ চালাচ্ছেন তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পরিপন্থি কাজ করছেন। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ স্বাধীন করেছি। বঙ্গবন্ধু অসাধ্যকে সাধন করেছেন। তবে উনি যে স্বপ্ন দেখে গেছেন এভাবেতো দেশ চলছে না। দেশে এখন দুর্নীতি আর লুটপাট চলছে, জনগণকে ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই এই দেশকে রক্ষা করার জন্য জনগণের ঐক্যের কোন বিকল্প নাই।
তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে হবে ঐক্যের উপর ভর করে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, এই দেশের জনগণই হবে সকল ক্ষমতার মালিক। আজ নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখেন আমরা কি মালিকের ভূমিকায় আছি? বিভিন্নভাবে আমাদের অভিযোগ করতে হচ্ছে দেশ আজকে কার নিয়ন্ত্রণে চলছে, পুলিশ কার নির্দেশে মানুষকে এইভাবে হয়রানি করছে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, জনগণ যদি ক্ষমতার মালিক থাকতো তাহলেতো দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন অবস্থা হতো না। এইভাবে নারী নির্যাতন হতো না, হত্যার শিকার হতো না। এগুলোতো খুবই লজ্জার বিষয় যে প্রত্যেকদিন এইসব ঘটনা পত্র প্রত্রিকায় পড়তে হয়। সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ যদি থাকতো, জনগণ যদি ক্ষমতার মালিক থাকতো, এইসব ঘটনা কখনোই ঘটতো না। দেশ এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বিপরীতে চলছে।
তিনি বলেন, সরকার জনগণকে যেভাবে অবহেলা করছে, পুলিশকে যেভাবে অপব্যবহার করছে। এইসব কর্মকা-ে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হচ্ছে। তিনিতো সংবিধানে স্বাক্ষর করে দিয়ে গেছেন যে, জনগণ এই দেশের ক্ষমতার মালিক। সরকারতো কিছুই মানছে না। তারাতো বঙ্গবন্ধুকে অপমান করেছে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অথিতির বক্তব্যে জাতীয় সসমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, এই দেশে এখন দুঃশাসন চলছে। চারদিকে গুম, খুন, হত্যা, নিপিড়ন বেড়ে গেছে। চলছে বিচার বহির্ভূত হত্যাকা-। দেশে কোন আইনের শাসন নেই। এভাবেতো দেশ চলতে পারে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করেছি। ঠিক এমনি এক ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা জীবনের শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। কিন্তু এখনো আমাদের দেশের জন্য কিছু করার আছে। সবাই মিলে দেশকে দুঃশাসনের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলছি, সামনে অনেক বিপদ। তাই সবাইকে নিয়ে কাজ করুন। নয়তো আপনি টিকে থাকতে পারবেন না। আর একটা কথা মনে রাখবেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে বলে আপনি সবকিছুতে পার পেয়ে যাবেন না।
দলের মহাসচিব হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব আবুল হাসান চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী বেগম নাসরিন সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, হাবিব উন নবী সোহেল, রেহান মুস্তাফিজ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।