বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জিসান হোসেনকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর থেকে নিহতের পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ঘটনায় প্রশাসনের ভ‚মিকা নিরব থাকায় ফুঁসে উঠছেন এলাকাবাসীসহ শিক্ষার্থীরা। হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এদিকে পেরাব আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস বর্জন করে জিসানের খুনিদের দ্রæত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। এসময় এলাকাবাসীও ওই কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গোলাকান্দাইল এলাকায় সন্ত্রাসীরা জিসান হোসেনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পর শুক্রবার সকালে সে ঢোকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। গোলাকান্দাইল মধ্যেপাড়া এলাকার সৌরভসহ তার ছোট ভাই সিয়াম, বিদুৎ, ইকরাম, শাওন, রোহান, আলামিন, আরমান, ইমন, সাকিব, হৃদয়, ইয়ামিন, ফাহিম, মাসুম, মোস্তাকিমস আরো বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী হৃদয় ও জিসানকে জোরপূর্বক উঠিয়ে গোলাকান্দাইল হাট সংলগ্ন বালুর মাঠে নিয়ে রড ও কাঠ দিয়ে পিটিয়ে সারা শরীর থেতলে দেয়। ঘটনার পর থেকেই হত্যার সঙ্গে জড়িতরা এলাকায় মহড়া দিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা।
উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে বলেও জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে, আহত হৃদয় হাসান শুভ’র খোঁজ নিতে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তারাও সন্ত্রাসীদের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফুলজান বেগম বলেন, উদ্ধারের সময় এবং মৃত্যুর আগে আহত জিসান বলছিলো আমার কোন অপরাধ নেই, আমাকে অন্যায় ভাবে পিটিয়েছে। পায়ে ধরেও রেহাই পাইনি আমি। কথা গুলো বলার সময় আমিসহ আশ-পাশের লোকজন কান্না ধরে রাখতে পারেনি।
স্থানীয়রা জানায়, গোলাকান্দাইল নাগেরবাগ, বউবাজার, ৫নং ক্যানেল, কান্দাপাড়া এলাকায় বেশির ভাগ মানুষ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে এসে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। বাড়িঘর নির্মাণ ও জমি ক্রয় করতে হলে চাঁদা দিয়ে কাজ করতে হয় তাদের। সন্ত্রাসীরা এসব এলাকায় হত্যা, ডাকাতি, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসলেও প্রভাবশালী কয়েক জন ব্যাক্তির ইশারায় পার পেয়ে যায়। স্থানীয়রা ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। এক প্রকার স্থানীয়রা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, জুরাইনের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে মামলা করার জন্য কিন্তু নিহত জিসানের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে রাজি হয়নি। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ব্যপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।