পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিয়ের পিড়িতে বসা বর ইতিপূর্বে বিয়ে করেছেন কি না- এই তথ্য উল্লেখ করতে হবে কাবিননামায়। যদি তিনি ইতিপূর্বে বিয়ে করে থাকেন কিংবা স্ত্রী মারা গিয়ে থাকেন সেই তথ্যও উল্লেখ করতে হবে। একই সঙ্গে মেয়েদের ক্ষেত্রে কাবিননামার ৫ নম্বর কলামে উল্লেখিত ‘কুমারী’ শব্দটি তুলে দিয়ে সেখানে ‘অবিবাহিত’ কথাটি প্রতিস্থাপিত হবে। এমন আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশের পর বাদীপক্ষের কৌঁসুলি আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি জানান, আদালতের দৃষ্টিতে ‘কুমারী’ শব্দটা থাকা ঠিক নয়। এটি বাদ দেয়া এবং কাবিনের ৪ নম্বর কলামে বরের ক্ষেত্রে সে বিবাহিত কি না তালাকপ্রাপ্ত কি না এবং বিপত্মীক কি না সেটি লিখতে হবে। ৫ নম্বর কলামের ‘কুমারী’ শব্দে আমাদের আপত্তি ছিল। কুমারী বিষয়টা পুরোপুরি প্রাইভেসির ব্যাপার। রাইট টু প্রাইভেসি অনুযায়ী আমরা এই রিট করেছি। এর আগে আমরা এ বিয়ের কাবিনের (নিকাহনামার) ফরমের কনে কুমারী, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত সংক্রান্ত পাঁচ নম্বর কলাম থাকার বৈধতা নিয়ে রিট করেছিলাম।
তিনি বলেন, কাবিননামার ফর্মের (বাংলাদেশ ফর্ম নম্বর-১৬০০ ও ১৬০১) পাঁচ নম্বর কলাম কেন বৈষম্যমূলক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে কেন ‘কুমারী’ শব্দটি বিলোপ করে কাবিননামা সংশোধন করা এবং বরের বৈবাহিক অবস্থা-সম্পর্কিত কোনো ক্রমিক কাবিননামায় উল্লেখ করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের সময় উভয় পক্ষের ছবি কাবিননামায় কেন সংযুক্ত করা হবে না সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয় রুলে। রুল শুনানির এক পর্যায়ে অপর এক আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান কাবিননামায় মেয়েদের তথ্যর পাশাপাশি ছেলেরা বিবাহিত, অবিবাহিত বা তালাকপ্রাপ্ত কি না তা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সম্পূরক আবেদন করেন।
রুলের শুনানিতে বাদী পক্ষে ধর্মীয় মতামত দিয়েছেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, নিকাহনামার ৫ নম্বর কলামে এটি থাকা উচিৎ নয়। কারণ এটি ব্যক্তির মর্যাদা এবং গোপনীয়তা ক্ষুন্ন করে। এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী এগুলো থাকা বাধ্যমূলক নয়। মুসলিম শরীয়তে এধরণের শর্ত নেই। ওই অনুচ্ছেদটি বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে বাংলাদেশ ‘লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট’ (ব্লাস্ট) নারীপক্ষ এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ২০১৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রিট করে। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রিন্টিং এবং প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়। রিট পিটিশনার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড.আই. খান পান্না। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।