Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুগের বিস্ময় মোহাম্মদ আলী

প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মুহাম্মদ রেজাউর রহমান
মুষ্টিযুদ্ধে বিস্ময় সৃষ্টিকারী বিশ্বের সর্বত্র কিংবদন্তি হিসেবে স্বীকৃত তিনবার হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন মোহাম্মদ আলী গত ৩ জুন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরিজোনা অঙ্গরাজ্যের ফিনিক্স এরিয়া হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। এই পৃথিবীর প্রায় দুইশ দেশে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কাছেই তিনি ছিলেন স্বপ্নের নায়কের মতো। ১৯৪২ সালের ১৭ জানুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিল শহরে জন্মগ্রহণকারী মোহাম্মদ আলীর প্রথমে নাম ছিল কেসিয়াস মারসেলাস ক্লে। ১৯৬৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন সলি লিস্টনকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ওই বছরই যুক্তরাষ্ট্রের কালো মানুষদের মাঝে ইসলাম-প্রচারক ম্যালকম এক্সের সান্নিধ্যে আসেন নতুন এই বিশ্ব হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন। মাত্র বাইশ বছর বয়সে মানুষে মানুষে সব ধরনের বৈষম্য দূর করার নীতিতে বিশ্বাসী ইসলামে দীক্ষিত হন কেসিয়াস ক্লে। তখন তিনি নতুন নাম গ্রহণ করেন মোহাম্মদ আলী।
এর আগে ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে ইতালির রাজধানী রোমে অনুষ্ঠিত অলিম্পিক গেমসে লাইট হেভিওয়েট বক্সিং ইভেন্টে স্বর্ণজয় করেছিলেন। নিজের শহর লুইসভিলে ফেরার পরে শুধু সাদা চামড়াদের আপ্যায়ন করা হয়Ñএমন একটি রেস্তোরাঁয় তাকে খাবার পরিবেশন করতে অস্বীকৃতি জানানো হলে ক্ষোভে, দুঃখে অপমানে অলিম্পিকে পাওয়া সোনার মেডেল ওহাইয়ো নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। এরও আগে ১৯৫৬ সালে গোল্ডেন গ্লভস লাইট হেভিওয়েটেও স্বর্ণ জয় করেছিলেন তখনকার কেসিয়াস ক্লে। বক্সিংয়ের প্রতি প্রবল আগ্রহ নিয়ে অগ্রসর হয়েছিলেন মাত্র বারো বছর বয়সে। জন্মদিনের উপহার হিসেবে পাওয়া বাইসাইকেল চুরি হওয়াতে ক্ষুব্ধ কেসিয়াস ক্লে পুলিশের শরণাপন্ন হন। সৌভাগ্যক্রমে বর্ণবাদে বিশ্বাসী নন এমন একজন পুলিশ অফিসার জো মার্টিন যখন ঘটনাটি শুনলেন, উত্তেজিত কেসিয়াস ক্লে সাইকেল চোরকে ধরতে পারলে তাকে প্রহার করে প্রতিশোধ নেবেন শোনার পরে তিনি মন্তব্য করলেনÑচোরকে মারবে, ভালো কথাÑতার আগে বক্সিং শেখো।
জো মার্টিন নিজেও ছিলেন একজন বক্সার। আর তিনিই ক্লের প্রথম শিক্ষাগুরু ছিলেন। কেসিয়াস ক্লেকে তিনি শহরের ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দিলেন। পেশাদার মুষ্টিযুদ্ধে ১৯৬০ সালে কেসিয়াস ক্লে প্রথম জয় পেয়েছিলেন টনি হুনসাকারকে হারিয়ে দিয়ে। কিন্তু মোহাম্মদ আলীর কাছে হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন শিরোপা হারানো সনি লিস্টন এক বছরের মাথায়ই পুনরায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে মোহাম্মদ আলী তা গ্রহণ করেন। এবার লিস্টন খেলার প্রথম মিনিটেই পরাজিত হন। ১৯৬৭ সালে ভিয়েতনামে কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল আমেরিকান সৈন্যরা। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণকে যুদ্ধক্ষেত্রে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকা সত্ত্বেও সৈন্য হিসেবে নাম লিখিয়ে যুদ্ধে যেতে অস্বীকৃতি জানান মোহাম্মদ আলী। সরকারি নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে রুজু করা হয় মোকদ্দমা। যুদ্ধ-বিরোধী মোহাম্মদ আলী ঘোষণা করেন যে, যে কোনো যুদ্ধেই গণহত্যা করা হয়, নির্দোষ মানুষদের হত্যা করা ইসলাম স্বীকার করে না। তাই তিনি যুদ্ধে যাবেন না। সরকার কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় মোহাম্মদ আলীকে পাঁচ বছর কারাবাসের দ- দেওয়া হয়, কেড়ে নেওয়া হয় তার বিশ্ব হেভিওয়েট মুষ্টিযুদ্ধের শিরোপা। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা ছাড়িয়ে মোহাম্মদ আলীর শান্তির বাণী ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। একজন শান্তিবাদী অহিংস ব্যক্তিত্ব হিসেবে সর্বত্র স্বীকৃতি পান মোহাম্মদ আলী। তখন তার বয়স ছিল ২৫ বছর।
১৯৭০ সালে তিন বছর কারাভোগ শেষে মুক্তি পেয়ে পুনরায় বক্সিংয়ে ফেরেন মোহাম্মদ আলী। ওই বছর জেরি কুয়েরেকে পরাজিত করেন তিনি। কিন্তু তার পেশাদারি জীবনে প্রথম হারের মুখোমুখি হন ১৯৭১ সালে। ফাইট অব দি সেঞ্চুরি নামে অভিহিত ওই মুষ্টিযুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে। তখনকার হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন জো ফ্রেজিয়ারের কাছে হেরে যান তিনি। এরপর ১৯৭৩ সালের মার্চে প্রায় অপরিচিত কেন নর্টনের কাছেও হেরে যান মোহাম্মদ আলী। কিন্তু সেপ্টেম্বরেই ফিরতি লড়াইয়ে নটনকে কুপোকাত করেন মোহাম্মদ আলী। ১৯৭৪ সালে জো ফ্রেজিয়ারের সাথে দ্বিতীয় লড়াইয়েও জেতেন মোহাম্মদ আলী। ওই বছরই কঙ্গোর রাজধানী জায়ারেতে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ। অষ্টম রাউন্ডে আলী হারাতে সক্ষম হন জর্জ ফোরম্যানকে। ১৯৭৫ সালে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত হয় জো ফ্রেজিয়ারের সাথে ফিরতি লড়াই। এই লড়াইয়েও জেতেন আলী। ১৯৭৮ সালে ১৯৭৬ সালের অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী লিওন স্পিঙ্কসের কাছে পরাজিত হয়ে ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন শিরোপা হারান মোহাম্মদ আলী। সেপ্টেম্বরেই অনুষ্ঠিত হয় ফিরতি ম্যাচ। এতে স্পিঙ্কসকে হারিয়ে আবারও শিরোপা পুনরুদ্ধার করেন তিনি। মোহাম্মদ আলীই প্রথম মুষ্টিযোদ্ধা যিনি তিনবার ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোহাম্মদ আলী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে সফরে এসেছিলেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এক নাগরিক সংবর্ধনা জানিয়ে ছিল। স্টেডিয়ামে ছিল না তিল ধারণের স্থান, গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। মোহাম্মদ আলী তার বক্সিং কৌশল প্রদর্শন করেছিলেন এক কৃত্রিম মুষ্টিযুদ্ধে, যেখানে তার প্রতিপক্ষ ছিল এক কিশোর মুষ্টিযোদ্ধা। ঢাকা ছাড়াও সুন্দরবন ও কক্সবাজার পরিদর্শন করে বাংলাদেশের পরিবেশ স্বর্গীয়Ñএ কথাও বলেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজারে তাকে একটি জমিও উপহার দিয়েছিল। এ ছাড়া বাংলাদেশের নাগরিকত্বও দেওয়া হয় তাকে।
১৯৮১ সালে আলী হেরে যান ট্রেভর বারবিকের কাছে। উল্লেখযোগ্য খেলাসমূহসহ আলী তার ক্রীড়া জীবনে ৫৬ বার মুষ্টিযুদ্ধে অংশ নেন। হেরেছিলেন মাত্র ৫টি খেলায়। ১৯৮১ সালেই মোহাম্মদ আলী মুষ্টিযুদ্ধের ভুবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। মুষ্টিযুদ্ধকে হিং¯্রতা ও বর্বর পেশিশক্তির খেলা থেকে তুলে এনে শৈল্পিক অলঙ্কারে পরিণত করেছিলেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্লোগান ‘আই অ্যাম দি গ্রেটেস্ট’ পরিণত হয়েছিল একটি জাদুকরী উক্তিতে। প্রজাপতির মতো চঞ্চল আর মৌমাছির মতো হুল ফোটানো ছিল তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মানসিক সাহস ধরে রাখার বিধ্বংসকারী অস্ত্র।
১৯৮৪ সালে পারকিনসন রোগ ধরা পড়ে আলীর শরীরে। ফলে শারীরিকভাবে সামাজিক কাজকর্মে তার অংশগ্রহণ কমে আসে। ১৯৯৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা শহরে অনুষ্ঠিত হয় অলিম্পিক গেমস। খেলার শুরুতে অলিম্পিকের মশাল প্রজ্বালনের দায়িত্ব দেওয়া হয় মোহাম্মদ আলীকে। ৩৬ বছর আগে বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়ে ক্ষুব্ধ আলী ওহাইও নদীতে ফেলে দিয়েছিলেন তার সোনার মেডেল। আটলান্টা অলিম্পিক কমিটির সিদ্ধান্তে তাকে পুনরায় দেওয়া হয় নতুন একটি সোনার মেডেল। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেলও তাকে দেওয়া হয়। তার মৃত্যুতে বিশ্ববরেণ্য ক্রীড়াবিদ পেলে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী জর্জ ফোরম্যান, ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারসহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রনায়ক, ক্রীড়াবিদ ও সুশীল সমাজ শ্রদ্ধা জানিয়ে বিবৃতি দেন। ৫ জুন রবিবার মোহাম্মদ আলীর জন্মস্থান কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের লুইসভিল শহরে তার দাফন অনুষ্ঠিত হয়। লুইসভিলের রিভার রোড মসজিদ হয়ে উঠেছিল সব ধর্মে বিশ্বাসী সবার মিলন ক্ষেত্র। সেখানে খ্রিস্টান, ইহুদি ও মুসলমানদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলীকে শ্রদ্ধা জানাবার জন্য এক যৌথ সভা। সভায় সব ধর্মের প্রতিনিধিগণই সেই মানুষটিকে শ্রদ্ধা জানায় বক্সিং রিংয়ের ভিতরে যিনি ছিলেন দুর্ধর্ষ কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে যত দিন তিনি বেঁচে ছিলেন, তিনি ছিলেন শান্তির একজন দূত। এনবিসির ওয়েভ নাম টেলিভিশন অনুষ্ঠানে মুসলিম-আমেরিকান সংহতির নেতা ও একজন চিকিৎসক মোহাম্মদ বাবর মন্তব্য করেছেন, মোহাম্মদ আলী শুধু ইসলাম ধর্মের একজন প্রচারক ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিশ্ব মানবতার প্রতীক। পৃথিবীর সব স্থানের জনগণ, তারা যে ধর্ম বা নৃ-গোষ্ঠীরই হোক না কেনÑতাকে ভালোবাসত। মোহাম্মদ বাবর প্রশ্ন করেন যে, মোহাম্মদ আলীর অনুপস্থিতিতে বর্তমানে চলমান প্রথা অনুযায়ী যে কোনো অপরাধের দায় ঢালাওভাবে তার ধর্মের সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ কে করবে? সভায় ক্রিসেন্ট গ্রিন ব্যাপ্টিস্ট চার্চের রেভারেন্ড জেসন-ক্রসবি একই ধরনের প্রশ্ন করে বলেন যে, এরপর ভ্রাতৃত্ব ও সমঝোতার আলোর শিখা নিয়ে এগিয়ে যাবে কে? অহিংস মৈত্রীর যে আলোক শিখা মোহাম্মদ আলী জ্বালিয়ে রেখে গেছেন, কে এরপর সেটা নিয়ে এগিয়ে যাবে? আলীর আদর্শের আলোকে উদ্বুদ্ধ কেউ এগিয়ে না এলে সহিংসতার কুৎসিত চেহারাই দেখা দিতে পারে।
আলীর স্মরণ সভায় লুইসভিলের মেয়র গ্রেগ ফিশার বলেছেন যে, ‘মোহাম্মদ আলী শুধু বক্সিং ও পেশাগত জীবনের পাশাপাশি নাগরিক ঐক্যের জন্যই কাজ করেননি, তিনি সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টিরও অগ্রপথিক ছিলেন। আমরা যখন সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে সমঝোতা কাকে বলে জানতাম না, তখন তিনিই আমাদের শিখিয়ে ছিলেন সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেই ঐক্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব। কয়েক বছর যাবৎ মোহাম্মদ আলী রোগাক্রান্ত ছিলেন। আমাদের স্বার্থপর চিন্তা তাকে চিরদিন আমাদের মধ্যে ধরে রাখতে চেয়েছে। এখন তিনি এ পার্থিব জগৎ ছেড়ে চলে গেছেন, কিন্তু রয়ে গেছে তার শিক্ষা, যা আমাদের কাছে থাকবে।’
মোহাম্মদ আলীর দাফনের দিনে লুইসভিলের সব নাগরিক যেভাবে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে এতে প্রমাণিত হয়েছে যে, মুষ্টিযুদ্ধ ও শান্তির প্রতীক হিসেবে যত ঊর্ধ্বেই তিনি উঠুন না কেন, নিজ জন্মস্থান ও তার অধিবাসীদেরও তিনি কখনো ভুলে যাননি। তার ব্যক্তিত্বের অপরাজেয় শক্তি এবং তার জাদুকরী প্রভাবের দ্বারা ক্রীড়া জগতের সীমানা ছাড়িয়ে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ১৯৬০-এর দশকে তিনি যুদ্ধের বিরুদ্ধে একজন অদম্য লড়াকু হিসেবে শান্তির অনুসারী বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে নিজের স্থায়ী আসন করে নিয়েছিলেন। বিশ্বের সব ধর্মের প্রায় সবাই তাকে সব মত ও ধর্মের মধ্যে একজন সমঝোতা স্থাপনকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল।
লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুগের বিস্ময় মোহাম্মদ আলী
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ