Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঝিনাইদহে নিহত পুরোহিতের বাড়িতে মৎস্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ শুক্রবার বিকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কোরাতিপাড়া গ্রামে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীর বাড়িতে আসেন। তিনি নিহত’র পরিবারের খোজ খবর নেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এ সময় তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার। কিন্তু তিনি তার পারেন নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা যখন দেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছেছেন, তখন স্বাধীনতা বিরোধীরা এ সব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, এ সব করে কোন লাভ হবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা অতীতেও যেমন সফল হয়েছেন, প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ভবিষ্যতেও সফল হবেন। প্রতিমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ১৯৭০ সাল থেকে নৌকায় ভোট দেওয়ার কারণে এদেশের সংখ্যালঘুদের উপর জুলুম নির্যাতন চলছে। তা আজও চলছে। প্রতিমন্ত্রী পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে দ্রুত অপরাধীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। তিনি ঝিনাইদহ সদরের সোনাইখালী গ্রামের মহিষের ভাগাড় বিলের রাস্তাটি পাকা করে পুরোহিত আনন্দ গোপালের নামে নাম করণ করা হবে বলে ঘোষণা দেন। প্রতিমন্ত্রীর সাথে এ সময় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, কেন্দ্রীয় পুজা উদযাপন পরিষদের নেতা বাবু কনক কান্তি দাস, ঝিনাইদহ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুমার সমাদ্দার উপস্থিত ছিলেন। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার অভিযোগ করেন, দেশে বিদেশে প্রধানমন্ত্রীর অর্জিত সাফল্য ম্লান করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে পুরোহিতকে হত্যা করা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন ও ঝিনাইদহ জেলা হিন্দু বৈদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে সর্বমোট ২০ হাজার টাকা নিহত পুরোহিতের পরিবারকে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের মহিষারভাগাড় বিলে আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী ওরফে নন্দকে (৭০) গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আনন্দ গোপাল সদর উপজেলার কোরতিপাড়া গ্রামের মৃত সত্য গোপালের ছেলে। এ হত্যাকাণ্ডের পর আইএস এর নামে দায় স্বীকার করা হয়। ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান, এ ঘটনার সাথে আইএস এর কোন যোগসূত্র নেই। বাংলাদেশে আতংক ছড়াতেই আইএস এর নামে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। আর ঘটনার দিন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনিরুজ্জামান বলেছিলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত হত্যার সাথে নিঃসন্দেহে জঙ্গি সংগঠন জড়িত। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার পুরোহিত হত্যার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ। তিনি বলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কোরাতিপাড়া গ্রামের পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। সেই সাথে হত্যার মোটিভ এবং ক্লু উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে জড়িতদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলেও তিনি জানান। তবে গত চার দিনেও পুরোহিত হত্যার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ