Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু নাম ও ছবি ব্যবহার করে লুটপাটের মাধ্যমে যারা আখের গুচ্ছাচ্ছে তারা বড় অপরাধ করছে -ড. কামাল হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৯, ১:৪৭ পিএম | আপডেট : ৪:৩৩ পিএম, ২৪ আগস্ট, ২০১৯

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কিছুই এখন মানা হচ্ছে না। যারা লুটপাট করে, বঙ্গবন্ধু নাম ও ছবি ব্যবহার করে আখের গুচ্ছাচ্ছে তারা বড় অপরাধ করছে। যারা যেন তেনভাবে ক্ষমতা দখল করে তারা কিন্তু দেশের মালিক না। জনগণই দেশের মালিক। তাই নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। এর চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন। তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেই বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গণফোরামের উদ্যোগে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কী স্বপ্ন দেখেছিলেন- এটা ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বুঝান। মানুষ এটা বুঝলেই কিন্তু রুখে দাঁড়াবে। দেখবেন- যারা তার নাম নিয়ে, তার ছবি নিয়ে কাজ করছে উল্টো। জনগণের ক্ষমতা তাদের স্বার্থে না লাগিয়ে, উনার ছবি দেখিয়ে, উনার ছবি নিয়ে নিজের আখের গুছচ্ছে। এটা ষোলআনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পরিপন্থী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনই চাইতেন না এদেশে স্বৈরশাসন কায়েম হোক। আমি একদম হলফ নিয়ে বলতে পারি যে, উনি এদেশে স্বৈরশাসন থাকবে-এটা কোনো দিনই ভাবতেই পারেননি। উনি জীবন দিয়েছেন এই কারণেই। উনি জীবন দিয়েছেন এদেশে গণতন্ত্র থাকবে, নির্ভেজাল গণতন্ত্র, নামকা ওয়াস্তে গণতন্ত্র নয়। কারণ উনার সারাজীবনের লড়াই ছিলো, যার জন্য উনাকে জীবনও দিতে হলো। বঙ্গবন্ধু জনগনকে দেশের মালিক হিসেবে দেখতে চেয়েছেন। যদি আজকে কেউ মনে করে যে, রাষ্ট্রের মালিকানা কোনো একব্যক্তির বা এক দলের তাহলে বঙ্গবন্ধুকে অসন্মান করা হবে, বঙ্গবন্ধুর কথাকে প্রত্যাখান করা হবে। কারণ তিনি সংবিধানে লিখে দিয়ে গেছেন- জনগনই ক্ষমতার মালিক।

তিনি বলেন, এদেশের মানুষ সব সময় বঙ্গবন্ধুকে মনে রাখবে। কারণ তিনি কখনও জনগণের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতেন না। জনগণ সব ক্ষমতার মালিক তিনি তা শিখিয়ে গেছেন। এদেশের মালিকনা সংবিধানের মাধ্যমে জনগণের হাতে দিয়ে গেছেন। তাই বঙ্গবন্ধু সব সময় অমর হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।

গত ৩০ ডিসেম্বেরের একাদশ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি বলব যে, কীভাবে আমরা বঞ্চিত হয়েছি? নির্বাচন পদ্ধতিকে করে দেয়া হয়েছে অবাধ নির্বাচনের ষোল আনা উল্টা। টাকা-পয়সা, নানা রকমের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সেই অপপ্রয়োগের মধ্যে একটা রায় দিয়ে দেয়া। মানুষ যাকে ভোট দিতে চায় না, মানুষ যার উল্টাটা চায়, তারা সামনে এসে বলে আমরা নির্বাচিত, আমরা এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মালিক।

ড. কামাল হোসেন বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বেরের একাদশ নির্বাচনে ভোট হয়নি, ভোট দিতে যেতে পারিনি। অথচ আমাদেরকে মোবারকবাদও দিয়ে দেয়া হয় সুষ্ঠুভাবে ভোট দেয়া হয়েছে বলে। বলা হল ভোট দিয়ে বিজয়ী করার কারণে এ মোবারকবাদ। কিন্তু আমি কেনো কেউই ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, মহসিন রশিদ, মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশতাক হোসেন, আমীন মোহাম্মদ আফসারী প্রমুখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. কামাল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ