Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জমিতে পুকুর খননের প্রতিবাদে জয়পুরহাটে সংবাদ সম্মেলন

জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুরা গ্রাম এলাকায় তিন ফসলের ৭৪ শতক জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রামপুরা গ্রামের প্রভাবশালী জনৈক আব্দুল মজিদ মন্ডল পুকুর খননের উদ্যোগ নিলে তা বন্ধের জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদন করে গ্রামবাসি। তা সত্বেও প্রভাব খাটিয়ে পুকুর খনন এর প্রক্রিয়া শুরু করলে গতকাল শুক্রবার জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে পুকুর খনন বন্ধের দাবি জানান ওই গ্রামের কৃষকরা। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন ক্ষেতলাল পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রামপুরা গ্রামের কৃষক নয়ন আলী মন্ডল। তিনি বলেন, গ্রামের প্রভাবশালী কৃষক আব্দুল মজিদ মন্ডল মাঠে ৭৪ শতক জমিতে পুকুর খনন করলে চতুর্পাশে তাঁদের বেশ কিছু তিন ফসলী জমিতে আর ফসল হবে না। ক্ষতির আশঙ্কায় এলাকার মানুষ বাধা দেয়া সত্বেও তিনি পুকুর খনন প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছেন। এ সময় রামপুরা রাণীপুকুর গ্রামের কৃষক মোরসালিন মন্ডল অভিযোগ করেন, ওই পুকুর খনন করলে পুকুরের পাশে তাঁর তিন ফসলী ৩৭ শতক জমিতে কোন চাষাবাদ করতে পারবেন না। একই অভিযোগ করেন রামপুরা গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিন, আবু বক্কর সিদ্দিক, জালিয়াপাড়া গ্রামের শাহাজুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
তাঁরা বলেন, তিন ফসলী জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করার জন্য তাঁরা সম্মিলিতভাবে ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত রহমান ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। সে অনুযায়ী ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খননকৃত পুকুর এলাকায় গিয়ে আব্দুল মজিদকে পুকুর খনন না করার জন্য নিষেধ করেন। এরপর সাময়িকভাবে তারা পুকুর খনন বন্ধ করে। তবে বর্তমানে আবারো পুকুর খননের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। পুকুর থেকে মাটি বিক্রির জন্য তারা ফসলী জমির ওপর দিয়ে ইটের রাবিস ফেলে ট্রাক যাতায়াতের জন্য রাস্তাও তৈরি করছেন। তাদের দাবি সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী তিন ফসলের জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করা বেআইনী হলেও আইনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে পুকুর খননের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
এ বিষয়ে কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আমার ওই জায়গায় পুকুর খননের অনুমতি নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি। মৌখিকভাবে সম্মতি পেয়ে পুকুর খননের কাজ শুরু করেছি। ওই জায়গায় পুকুর হলে অন্যদের ক্ষতি হবে না। আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে অভিযোগ করছেন’।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষডুকভাবে পুকুর খনন বন্ধ করার জন্য কৃষক আব্দুল মজিদকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, ‘তিন ফসলের জমিতে পুকুর খননের মৌখিক অনুমতি দেয়ার কোন প্রশ্নই আসে না। বরং অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ক্ষেতলালের ইউএনও কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ