Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সাতক্ষীরায় ন্যাপকিন ‘প্রজাপতি’

আবদুল ওয়জেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাতক্ষীরায় উৎপাদিত হচ্ছে উন্নতমানের স্যানেটারি ন্যাপকিন ‘প্রজাপতি’। প্রশিক্ষিত কর্মীদের হাতের সুনিপন ছোয়ায় তৈরি এই স্যানেটারি ন্যাপকিন কিশোরী শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। 

জানা যায়, সরকার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে ‘নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ণ ও কিশোরী স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্যানেটারি ন্যাপকিন প্রস্তুত ও বিতরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পরীক্ষামূলক এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩২টি জেলায় স্থানীয় নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মাধ্যমেই তৈরি করা হচ্ছে স্যানেটারি ন্যাপকিন। প্রকল্প আওতাভুক্ত জেলা সাতক্ষীরায় উৎপাদিত এসব ন্যাপকিন বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে জেলার চারটি বিদ্যালয়ের কিশোরী শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
সাতক্ষীরা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্র জানায়, স্যানেটারি ন্যাপকিন উৎপাদনের লক্ষ্যে আটজন নারী উদ্যোক্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারা সফতাহে একদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঢাকা থেকে আনা কাঁচামাল ব্যবহার করে স্যানেটারি ন্যাপকিন উৎপাদন করে থাকে। দিনে ৫০টির মতো ন্যাপকিন উৎপাদন হয়।
স্যানেটারি ন্যাপকিন উৎপাদনে নিয়োজিত নারী উদ্যোক্তারা জানান, সুতা কাটা, রোলিং, নেটিংয়ের কাজ হাতে করা হয়। আর মেশিনের সেলাই করা হয়। পরে তা নির্ধারিত মেশিনে ৪০ মিনিট রেখে জীবাণু মুক্ত করে প্যাকেটজাত করা হয়।
কিশোরী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে উৎপাদিত এই ন্যাপকিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অ.দা.) নাজমুন নাহার বলেন, আমাদের দেশে মাসিককালীন সময়ে কিশোরীরা অনাকাক্সিক্ষত সংকটে পড়ে। তারা না পারে বলতে, না পারে ন্যাপকিন চাইতে। অনেক সময় স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, অনেকে ঝরে পড়ে। এজন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরীক্ষামূলক বিনামূল্যে ন্যাপকিন বিতরণের এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এতে নারীদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে যেমন ক্ষমতায়ন সম্ভব, তেমনি কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এদিকে, স্যানেটারি ন্যাপকিন তৈরির এই প্রশিক্ষণ আরও বৃহৎ পরিসরে দেয়া সম্ভব হলে এ খাতে নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির নবদিগন্ত সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন জেলাবাসী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ