পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশেরই বিচার হয়েছে। এখনও যারা বিদেশে পালিয়ে রয়েছে, তাদেরও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে উচিত বিচার করা হবে।
শুক্রবার পুরান ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সূত্রাপুর থানা আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, মানবভোজ এবং রংতুলিতে সঙ্গীতে আবৃতিতে বঙ্গবন্ধু অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এম এ মান্নান বলেন, ৭১’র পরাজিত শত্রুরা এখনও ষড়যন্ত্র করছে। তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাই প্রত্যেকের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ঘরের বাইরে এসে সমর্থন করতে হবে। ঘরে বসে চুপচাপ সমর্থন করলে হবে না। ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিলো তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, আফ্রিকা, ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে রয়েছে। আমরা ওইসব দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যেমে ফিরিয়ে এনে বিচার করবো।
তিনি বলেন, দেশ থেকে অন্যায় অবিচার দুর করতে হবে। সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প তুলে ফেলতে হবে। একটি সস্প্রিতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। কারণ আমরা সবাই একই ভাষায় কথা বলি। একই পোশাক পরি। একই খাবার খাই। আমরা সবাই বাঙালী।
ভারতের জি বাংলায় শিল্পী নোবলের জাতীয় সংগীত নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, নোবেল খুবই স্নেহের। ভালো গান গায়। কিন্তু নোবেল জাতীয় সংগীত নিয়ে জাতির সামনেযে মন্তব্য করেছে তা ঠিক নয়। এখানে ভালো শিল্পীর সঙ্গে জ্ঞাণ বুদ্ধি রেখে কথা বলা উচিত।
তরুণদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বে লক্ষ প্রাণ দিয়ে একটি বাংলাদেশ পেয়েছি। তার ঋণ শোধ করার জন্য আমরা তার নাম বার বার স্মরণ করি। তাই শুধু স্মরণ করলেই হবে না, কাজও করতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধু স্বাধীন একটি দেশ দিয়ে গেছেন। কথা বলার অধিকার দিয়ে গেছেন। আমাদের দিন শেষ। আমরা চলে যাচ্ছি। এদেশের নেতৃত্ব দেবেন আপনারা।
তিনি আরো বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিদেশে পলাতক মুল আসামীদের বিদেশ থেকে দ্রুত ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা যদি দেশে ফিরে না আসতেন জেনারেল জিয়া এদেশটাকে পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য বানিয়ে ফেলতেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জেনারেল জিয়া জড়িত ছিল। পর্দার অন্তরালে সবকিছু করেছে জেনারেল জিয়া। আর তারই ছেলে তারেক জিয়া জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ আগস্ট হত্যার চক্রান্ত করেছিল। খুনীরা যে দলেরই হোক না কেন তাদের রক্ষা হবে না। তাদের বিচারের রায় কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার আলোতেই আমরা সবাই আলোকিত। সারাবিশ্বেএখন বাংলাদেশ রোল মডেল।
সূত্রাপুর থানা সভাপতি অধ্যক্ষ আহসান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, কৃষক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবুল হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অরুণ সরকার রানা, আওয়ামী লীগ নেতা মোত্তাছিম বিল্লাহ, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আওলাদ হোসেন রুহুল, সাংবাদিক সমীরণ রায়, ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অসীম কুমার বৈদ্য, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান হিমু, সূত্রাপুর থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক উদয় শংকর বসাক, সহ সভাপতি অধ্যাপক প্রিয় শংকর বন্দোপাধ্যায়, নাজনিন আক্তার বিউটি, বদিউজ্জামান বদি, হাবিবুল্লাহ রিপন, মো. লিটন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।