রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন আবর্জনার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। উপজেলা জুড়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হলেও ডেঙ্গুর বংশ বিস্তারে গোটা হাসপাতাল যেন ডেঙ্গুর আবাসস্থল বানিয়ে রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের বাথরুমে কয়েক ইঞ্চি পানি জমে আছে। আর এতে ভন ভন করছে মশা ও মাছি। শ্যাওলা ধরা বাথরুমের কোনে স্তুপ করে রাখা হয়েছে ময়লা। হাসপাতালের ইনডোর থেকে আউটডোর সর্বত্রই ময়লার স্ত‚প। ড্রেন থেকে শুরু করে বাথরুমে তিন চার ইঞ্চি পরিমান ময়লা, দূর্গন্ধযুক্ত পানি জমে থাকায় মশা, মাছি ভোঁ ভোঁ করছে। হাসপাতালের বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার নিয়ম থাকলেও তা স্তূপ করে রাখা হচ্ছে বিক্রির জন্য। রোগীরা নাক চেপে বাথরুমে গেলেও এ ময়লা পরিস্কারে কোন উদ্যোগ নেই। এ চিত্র বাহিরের।
আর ভেতরের চিত্র আরও ভয়াবহ। দুর্গন্ধে রোগীরা অতিষ্ট হয়ে প্রতিতবাদ করলেই তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে পরিচ্ছন্ন কর্মী ও নার্সরা। এ অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের। কলাপাড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে হাসপাতালের বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলার জন্য চুল্লি করে দেয়া হলেও সেই চুল্লিটিই যেন ঢেকে দিয়েছে ক্লিনিকাল বর্জ্যতে। এরই মধ্যে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ হোসেন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য বরিশালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কলাপাড়া হাসপাতালে ইতোপূর্বে আরও চারজন ডেঙ্গু রোগী শণাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে সর্বশেষ ভর্তিরত চাকামইয়ার আকলিমা বেগম চিকিৎসার জন্য বরিশালে গেছেন। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আরও পাঁচজন ডেঙ্গু রোগী শণাক্ত হয়েছে। এনিয়ে কলাপাড়ায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জন ডেঙ্গু রোগী শণাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত কলাপাড়ায় মোট ২০টি কীট পেয়েছেন। কীট সঙ্কটের কারণে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নিয়ে সঙ্কটের শঙ্কা প্রকাশ করছেন কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসকগণ।
সিপিপির কর্মী শহীদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে মানুষ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হওয়ার জন্য আসে হাসপাতালই যদি হয় ডেঙ্গুর ঘর তাহলে মানুষ কোথায় যাবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার বলেন, জনবল সংকট ও অতিরিক্ত রোগীর চাপে সব সময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যাচ্ছে না। কর্মীরা নিয়মিত কাজ করছেন। তবে ক্লিনিক্যাল বর্জ্য পুড়িয়ে না ফেলে কেন স্ত‚প করে রাখা হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন পৌরসভা থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মী আবর্জনা অপোসরণ করার কথা থাকলেও কেন সরানো হচ্ছেনা, তা পৌর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জানান, হাসপাতালের ভেতর ও বাইরের এ ময়লা আবর্জনা দ্রুত পরিস্কার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. শাহ মোজাইদুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটি উপজেলায় ডেঙ্গুর জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এছাড়া পরিস্কার পরিচ্ছনতার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।