পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্টার : দেখতে দেখতে দু’রমজান চলে গেল। রোজা যত কমে আসছে ততই ঈদের আমেজ তৈরি হচ্ছে ঘরে ঘরে- মানুষের মনে। ঈদ উৎসবকে আরো সার্থক করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবার বাজারে ২৬ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ছে। পাশাপাশি পুরান নোট বদলিয়ে নতুন নোট দেয়ার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ লক্ষ্যে তাদের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এবার একজন সর্বোচ্চ আট হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে মৌসুমি ব্যবসায়ী ও দালালদের উৎপাত বন্ধে আগের বছরের মতো এবারও বিশেষ উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঈদে সালামি, বকসিসসহ বিভিন্ন কারণে নতুন নোটের প্রচুর চাহিদা থাকে। আর এই চাহিদা পূরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই উদ্যোগ নিয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, পুরান নোট বদলানোর সুবিধার্থে ঢাকাসহ সারাদেশে বিশেষ কাউন্টার খোলা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিলসহ দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখায় নতুন নোট বিনিময় করা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এবার নতুন-পুরনো মিলে ২৬ হাজার কোটি টাকার নোট বিনিময়ের পরিকল্পনা নিয়েছে। যা গতবারের চেয়ে চার হাজার কোটি টাকা বেশি। এর মাধ্যমে সমান সংখ্যক পুরনো নোট বাজার থেকে তুলে নেয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিলিসহ বিভিন্ন শাখা অফিস এবং ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখায় খোলা বিশেষ কাউন্টার থেকে নোট বদলে নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এসব শাখা থেকে একজন ব্যক্তি ২, ৫, ১০, ২০, ৫০ টাকার একটি করে বান্ডিলের প্যাকেটে মোট ৮ হাজার ৭০০ টাকার নতুন নোট নিতে পারবেন। এর বাইরে কেউ চাইলে ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন নিতে পারবেন। এছাড়া কেউ চাইলে ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোট নিতে পারবেন। নতুন নোট বদলানোর সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে তিনটি বিশেষ কাউন্টার খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকার বাইরে বগুড়া এবং সব বিভাগীয় শহরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শাখা অফিসে বিশেষ কাউন্টার খোলা হবে। এসব শহরের নির্দিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংকেও একই রকম ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া রাজধানীর ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখায় বিশেষ কাউন্টার খুলে নতুন নোট বদলে দেয়া হবে। শাখাগুলো হলো-সোনালী ব্যাংকের রমনা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গনি রোড, অগ্রণী ব্যাংকের অ্যালিফ্যান্ট রোড, রূপালী ব্যাংকের মহাখালী, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বনানী, প্রাইম ব্যাংকের মালিবাগ ও মিরপুর, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট, ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী, ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাওরানবাজার, উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার, এসআইবিএলের বসুন্ধরা সিটি মার্কেট, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর, ব্যাংক এশিয়ার ধানমন্ডি, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের দক্ষিণ খানের এসএমই অ্যান্ড কৃষি শাখা। যেসব শাখা থেকে ১০০ টাকা ও এর বেশি মূল্যমানের নতুন নোট বিনিময় করা যাবে সেগুলো হলো-জনতা ব্যাংকের নিউমার্কেট, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট, প্রাইমের মৌচাক, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো, ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী, ডাচ্ বাংলার দক্ষিণখান, মার্কেন্টাইলের বনানী ও ব্যাংক এশিয়ার ধানমন্ডি শাখা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।