পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলে আমন আবাদের ধুম পড়েছে। আবাদ ও ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক। এবার আউশ আবাদে লক্ষ্য পূরণ হয়নি। তাই এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমন চাষে মনোনিবেশ করেছেন চাষিরা। চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩৭ একর হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। গতকাল রোববার পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে আবাদ শেষ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, আবহাওয়া অনুক‚ল এবং সার ও বীজের সরবরাহ পর্যাপ্ত হওয়ায় আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে। ফলনের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৭৬৩ মেট্রিক টন (চাল)। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নির্ভর এ ধান আবাদে খরচও অপেক্ষাকৃত কম। আর এ কারণে কৃষকদের মাঝে আমন চাষে ব্যাপক উৎসাহ রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, আবাদের লক্ষ্য অর্জন করা গেলে এ অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
এ অঞ্চলের পাঁচ জেলায় গতকাল পর্যন্ত তিন লাখ ২২ হাজার ৫৭০ হেক্টরে আমন আবাদ শেষ হয়েছে। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৬০ শতাংশ। চট্টগ্রাম জেলায় এক লাখ ৮২ হাজার ৬৯৪ হেক্টরে আমন আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত আবাদ হয়েছে এক লাখ চার হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে। কক্সবাজারে ৮২ হাজার ২১২ হেক্টরের বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৫৬ হাজার ৯৫ হেক্টরে। নোয়াখালী জেলায় লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৪৬ হেক্টর।
আবাদ হয়েছে ৮১ হাজার ৫৮৫ হেক্টরে। ল²ীপুরে ৭৪ হাজার ২০৪ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৩৯ হাজার ৬০০ হেক্টরে। ফেনী জেলায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫৮ হাজার ৮১ হেক্টর। গতকাল পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৪৬ হাজার ৮১০ হেক্টরে। পাঁচ লাখ ৫৫ হাজার ৬৩৭ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের মাধ্যমে ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৭৬৩ হেক্টর জমিতে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। এবারও তিন ধরনের আমন চাষ হচ্ছে। এরমধ্যে দেশি জাতের আমনে ফলনের টার্গেট ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ১.৬৫ মেট্রিক টন। উফশি প্রতি হেক্টরে ৩.০২ মেট্রিক টন এবং হাইব্রিড ৪.১৩ মেট্রিক টন।
চলতি আউশ মৌসুমে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচ জেলায় এক লাখ ৩৩ হাজার ৮২৭ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়। তবে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৯৮ হাজার ৭০৯ হেক্টরে। টার্গেটের তুলনায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ কম হয়েছে। একই সাথে গত বছরের তুলনায় ১৯ হাজার ২০৪ হেক্টর কম জমিতে এবার আউশের আবাদ হয়। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, আউশের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষাণ-কৃষাণীরা। বর্ষার শুরুতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আউশ আবাদ ব্যাহত হয়েছে। তবে আমন আবাদে আবহাওয়া পুরোপুরি অনুক‚লে রয়েছে। বর্ষায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে পর্যাপ্ত বীজতলাও তৈরি হয়েছে। সার এবং কীটনাশকের সরবরাহও স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে আমন আবাদ লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাবে।
কৃষ্টি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আমনের আবাদ হচ্ছে। বর্ষায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। সারেরও কোন সঙ্কট নেই। ইতোমধ্যে টার্গেটের চেয়ে চার শতাংশ বেশি জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ৬০ শতাংশ জমিতে আবাদ শেষ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি মাসের শেষ নাগাদ আবাদ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে।
এপ্রিল, মে এবং জুনে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় আউশের আবাদ বিঘিœত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমনের জন্য আবহাওয়া এবং পরিবেশ অনুক‚লে রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আমন আবাদে কোন সমস্যা নেই। আগস্টের শেষ দিকে বন্যা কিংবা পাহাড়ি ঢল না হলে আমন আবাদ লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি বিভাগ এ অঞ্চলে আউশ এবং আমন আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করছে। আউশে প্রণোদনাও দেয়া হচ্ছে। কৃষি বিভাগের লক্ষ্য হলো ব্যয়বহুল বোরো চাষ কমিয়ে আউশ এবং আমনে ফলন বাড়ানো। বোরো আবাদে ভ‚গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করতে হয়। আর এ কারণে পরিবেশ বিপর্যয়েরও শঙ্কা রয়েছে। আর তাই বোরো মৌসুমে ধানের বদলে গম, ভুট্টা, সরিষা, তেল ও ডাল জাতীয় ফসলের আবাদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।