Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্যাথলজিস্ট-ব্রাদার সংঘর্ষ ঢামেকে আহত ২০

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

রিপোর্ট আগে নেয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। থেমে থেমে চলা এ সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের ঢামেক জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
প্যাথলজি বিভাগের একটি সূত্র জানায়, ঢাকা মেডিকেলে চতুর্থ শ্রেণি ও টেকনোলজিস্টরা একদিকে অন্যদিকে হাসপাতালের নার্সরা। এই দুই গ্রুপ এসে প্যাথলজি বিভাগে হাতাহাতি ও মারামারি করে। এতে প্যাথলজিতে থাকা সাধারণ রোগীরা রক্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করতে এসে এই দুই গ্রæপের মারামারির মধ্যে পড়েন। এতে তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা দিগ্বিদিগ ছোটাছুটি করতে থাকেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ব্যাপারে হাসপাতাল পরিচালকন মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মজিবুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহে মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার জন্য বলা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত নার্স মো. রাসেল মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি প্যাথলজি বিভাগে যান তার এক আত্মীয়ের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট আনতে। কিন্তু অনেকক্ষণ লাইনে থাকার পরও রিপোর্ট না পেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলে ওই ব্যক্তি অশালীন আচরণ করেন। এ সময় তাদের মধ্যে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রিপোর্ট প্রদানকারী ব্যক্তি তাকে শার্টের কলার ধরে মারধর করতে থাকে। রাসেলের সঙ্গে থাকা আরও তিনজন নার্স এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে প্যাথলজিতে থাকা অপর স্টাফরা তাদেরও মারধর করে।
হাসপাতালের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্যাথলজি বিভাগের তিন নার্সকে আটকে রেখে মারধর করা হচ্ছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের অর্ধশত নার্স মিছিল করে প্যাথলজি বিভাগে যান। সেখানেও তাদের মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে দু’গ্রæপের মধ্যে থেমে থেমে বেশ কিছু সময় সংঘর্ষ চলে। এতে কমপক্ষে ২০ জনের মতো আহত হয়, যাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে সবাইকে শান্ত হওয়ার আহবানন জানান। এ সময় তিনি বলেন, এটা হাসপাতাল। মানুষ চিকিৎসার জন্য আসে, আপনারা সবাই শান্ত হোন। কি হয়েছে? আমরা ব্যাপারটা দেখছি। এর পরপরই দু’গ্রæপ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
প্যাথলজি বিভাগের কর্মচারী রুবেল জানান, যারা তিন-চার বছর আগে নিয়োগ পেয়েছেন, নতুন নার্স। তাদের আদব-কায়দা বলতে কিছুই নেই। তারা কয়েকজন প্যাথলজিতে এসেই মাস্তানি শুরু করে। বলে, আমাদের রিপোর্ট দেন, রিপোর্ট কই। এখনও আমাদের রিপোর্ট পাচ্ছি না। আমরা হাসপাতালে নার্স, এই বলে চিৎকার করতে থাকে।
একপর্যায়ে প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আজিজ বেরিয়ে এলে তার সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করা হয়। এ ব্যাপারে ডা. আজিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি তাদের (নার্স) বোঝানোর চেষ্টা করি, একপর্যায়ে তারা আমার ওপর হামলা করে। পরে সংঘর্ষ হয়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আহত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ