Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০

সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

সাতক্ষীরায় সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ১৩ জন আহত ছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৭ জন। তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে দুই পক্ষের ভয়াবহ সংঘাত ঠেকাতে পুলিশ ২৯ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রোববার সকালে বংশীপুরে ল²ী সিনেমা হলের কাছে সাদেকুর রহমান সাদেম সমর্থক আসমত আলিকে মারধর করে শোকর আলি সমর্থক আবদুল আলিম। এ খবর জানাজানি হতেই দুপক্ষই লাঠিসোটা সড়কি বল্লম রামদা চায়নিজ কুড়াল বোমা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় গুলির শব্দও পাওয়া যায়।

এদিকে, খবর পেয়ে সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরপর ২৯ রাউÐ গুলি ছুড়লে সংঘর্ষ থেমে যায়। এরপরই আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় শ্যামনগর ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। তাদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আফসার আলি, আলম, আবদুস সালাম, বারেক, নুর মোহাম্মদ, আবু সাঈদ, শফিকুলসহ সাতজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে শ্যামনগর হাসপাতালে।

সাবেক চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান সাদেম বলেন, ল²ী সিনেমা হলের কাছে চেয়ারম্যান শোকর আলি সমর্থক আবদুল আলিমসহ তিনজন গাঁজা খাচ্ছিল। এতে বাঁধা দেন সাদেকুর রহমানের সমর্থক মুজিবরসহ কয়েকজন। এই নিয়ে শুরু হয় বিরোধ ও মারামারি। পরে চেয়ারম্যান শোকর আলি ও তার ভাই গোলাম মোস্তফা বাংলা ভাই হেলমেট পরে মোটর সাইকেলে বন্দুক নিয়ে এসে গুলি ছোড়ে।

অপরদিকে, চেয়ারম্যান শোকর আলি বলেন, তার সমর্থক আবদুল আলিমকে সাদেকুর রহমান সাদেমের লোকজন ধরে রেখেছিল। তার প্রতিবাদ জানাতে তিনি ও তার সমর্থকরা সেখানে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় সাদেমের ভাই আবদুল ওহাব নেতৃত্ব দিয়ে হামলা চালায়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তার সমর্থক পাঁচজন আহত হয়েছেন। চেয়ারম্যান শোকর আলি জানান, শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান সাদেম সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দারের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এরপর থেকে তার আচরণ ছিল বেপরোয়া। গত ১৫ দিন ধরে দুইপক্ষে উত্তেজনা চলছিল। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকদিবসেও এই উত্তেজনা দেখা দেয়। তিনি জানান, তারই জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, দুই গ্রæপের কেনো পক্ষ গুলি ছোড়েনি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোড়ে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ