Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যায় বিধ্বস্ত সেতু যাতায়াতে ভোগান্তি

শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

কুড়িগ্রামে দুই বছর আগে বন্যায় বেশ কয়েকটি সেতু ও কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়। সংশ্লিষ্টরা সেতু ও কালভার্টগুলো বারবার পুনর্র্নিমাণের আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে সামনের দিনগুলোতে ভোগান্তি আরো বাড়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
কুড়িগ্রাম জেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের বন্যায় এলজিইডির ৭৭টি পাকা সড়কের ৬২ কিলোমিটার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে যায় ৩৭টি সেতু ও কালভার্ট। এতে গ্রামীন যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে পণ্য পরিবহনে। জেলা ও উপজেলা সদরের সঙ্গে অনেক এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে এরই মধ্যে ১৩টি সেতু-কালভার্টের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আর ১২টি চলমান।
দুই বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে সদরের কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের সানেরঘাট সেতুটি। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করত। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেতুটি পুনর্নির্মিত না হওয়ায় মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।
নেফারদরগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজনুর রহমান বলেন, ‘আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছি।’ একই অবস্থা কুড়িগ্রাম-রাজারহাট সড়কের বড় পুলেরপার সংলগ্ন কালভার্টটির। নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার-কচাকাটা সড়কের শকুনটারি সেতু, নাগেশ্বরী-বামনডাঙা সড়কের ধনিটারি সেতু ও সন্তোষপুর-তালেবেরহাট সড়কের নাওডাঙা সেতুসহ বেশ কয়েকটি সেতু ভেঙে পড়ে আছে।
এলজিইডির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আশা করি স্বল্প সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু-কালভার্ট নির্মাণ সম্ভব হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ