পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আর্থিক খাতের সমস্যা সমাধানে ব্যাংক কমিশন গঠন হবে। তবে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে, সেগুলো দূর হলেই কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হবে। কমিশন গঠনের সময় তাদের কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও লিজিং কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলামসহ ৩৬টি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান/লিজিং কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকের মাধ্যমে লিজিং কোম্পানিগুলোর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হলাম। তাদের প্রায় সবার একই অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে গ্রহীতারা সময়মতো ফেরত দিচ্ছেন না। ফলে তারা অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ঋণ আদায়ে পদক্ষেপ নিলেই ঋণগ্রহীতারা উচ্চ আদালতে মামলা করছেন। ফলে ঋণের টাকা আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং লিজিং কোম্পানিগুলোও আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ফলে তাদের সমস্যা দূর করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। অনেকেই এসব প্রতিষ্ঠান থেকে যে ব্যবসার কথা বলে ঋণ নেন, তারা সে খাতে ঋণের অর্থ ব্যবহার না করে অন্য কাজে ব্যবহার করেন। এসব প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করা হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, পিপলস লিজিং ছাড়া আরো তিন-চারটি প্রতিষ্ঠানের অবস্থা খারাপ বলে আমরা জেনেছি। সেগুলো সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এরপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারি কারণে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের বিদ্যমান আইনে কিছু বিচ্যুতি রয়েছে। এসব দূর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কাজ চলছে। আর্থিক খাতের অনেক বিষয় উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। মামলার কারণে এনবিআরও অনেক সমস্যায় আছে। আদালতে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলা ঠিক নয়। আমরা চেষ্টা করছি আইন সংশোধনের পাশাপাশি আর্থিক খাতের জন্য উচ্চ আদালতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেঞ্চ বাড়াতে। যাতে আর্থিক বিষয়ের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ নিয়ে যে এক্সিট ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, লিজিং কোম্পানিগুলোও সে ব্যবস্থা কাজে লাগাতে পারে। শুধু মুষ্টিমেয় কয়েকজন নয়, বর্তমান সরকার চায়, সবাই ভালোভাবে চলুক। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা উদ্যোগ নেয়া দরকার তা নেয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট বক্তৃতায় ব্যাংক কমিশন গঠনের বিষয়ে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবেই গঠন করা হবে। এটা কিছুটা সময়ের ব্যাপার। আমি আবার বলছি, আইনি জটিলতা দূর হলেই ব্যাংক কমিশন গঠন করা হবে। অন্য এক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন দেশের অনেকেই কোটি টাকা ব্যয় করে বিদেশ থেকে গরু আমদানি করে কোরবানি দিচ্ছেন। এটা বলার একটাই কারণ- দিন দিন আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো হচ্ছে। তবে শুধু দু-একজন নয়, যেন সবার জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয় সেভাবেই সরকার কাজ করছে। এবারের ঈদে দেশের মানুষ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে। যা আগের বছরের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি। এদিকে, বৈঠক শুরুর আগে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।