বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা ও চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করতে গিয়ে বিষয়টিকে নির্মম তামাশায় পরিণত করেছে।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা নিয়ে অপরাজনীতি করেই যাচ্ছে। বাস্তবে সরকার তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ (বিএএমপিএল) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। ড. হাছান বলেন, বেগম জিয়া দেশের সর্বোত্তম মেডিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি (বিএসএমএমইউ)-এ চিকিৎসা নিচ্ছেন। এখন বিএনপি নেতৃবৃন্দ দাবি করছেন যে, বেগম জিয়া খুবই অসুস্থ। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, তিনি শুধু জিহ্বার সমস্যায় ভুগছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার পা ও কোমরের ব্যথা বার্ধক্যজনিত স্বাস্থ্য জটিলতা। কিন্তু বিএনপি নেতৃবৃন্দ ভুলভাবে উপস্থাপন করে এটাকে নতুন সমস্যা হিসেবে দেখাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া পায়ে ও কোমরে ব্যথা নিয়ে দু’দফা প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালন করেন। জেলখানায় একজন চিকিৎসক, একজন নার্স ও একজন গৃহকর্মী সর্বক্ষণ তার দেখভাল করছেন। দক্ষিণ এশিয়ার আর কেউ কোনো জেলখানায় তার মতো সুযোগ পাচ্ছে না। অথচ তা সত্তে¡ও বিএনপি নেতারা নির্জলা মিথ্যা বলেই যাচ্ছেন। হাছান বলেন, বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের মন্তব্য করে অল্প দিনের মধ্যেই বিএনপি নেতারা নিজেদের হাস্যস্পদে পরিণত করছেন। এ ধরনের হৃদয়হীন কৌতুক না করার জন্য আমি বিএনপি নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করছি। তিনি বিএনপি নেতৃবৃন্দকে গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে উন্নয়নশীল এই দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী এডিস মশার কামড়ে বহু মানুষ বাড়িতে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে এই প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে একসাথে ডেঙ্গু মোকাবেলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু জেলে থাকা অবস্থায় বঙ্গমাতা পুরো দেশকে তার পরিবার মনে করতেন। তিনি পরিবারের পাশাপাশি দলকেও পরিচালনা করেছেন।
অনুষ্ঠানে বিএএমপিএল-এর সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দুর্জয়ের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার ও বিএএমপিএল সাধারণ সম্পাদক মুন্সি এবাদুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।