বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিক্ষকের পা ছুঁয়ে সালাম করলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। চট্টগ্রাম নগরীর সরকারি মুসলিম হাইস্কুলের ছাত্র থাকাকালীন তিনি পেয়েছিলেন ইংরেজির শিক্ষক মোহাম্মদ ইসহাকের সান্নিধ্য। গতকাল হঠাৎ করে বন্দর নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় প্রবীণ ওই শিক্ষকের যান তিনি। মোহাম্মদ ইসহাকের পা ছুঁয়ে সালাম করেন তথ্যমন্ত্রী। প্রিয় ছাত্রকে কাছে পেয়ে তাই চোখের পানি আটকাতে পারেননি মোহাম্মদ ইসহাক। তিনিও তার ছাত্রকে বুকে জড়িয়ে দোয়া করেন, কুশল জানতে চান।
ড. হাছান মাহমুদের কাছে তিনি জানতে চান, তার ছেলেমেয়ে ক’জন? মন্ত্রী বলেন, আমার এক ছেলে, দুই মেয়ে। ছেলে পড়ছে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে। এক মেয়ে এ-লেভেলে পড়ছে। এসময় তথ্যমন্ত্রী জানতে চান মুসলিম হাইস্কুলে এখন পড়ালেখার মান কেমন? শিক্ষকের উত্তর, খুব ভালো। প্রথম, ২য়, ৩য়-এর মধ্যেই থাকে। পাসের হার শতভাগ বলা যায়।
মোহাম্মদ ইসহাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স করার পর বৈরুতে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে একই বিষয়ে এমএ ডিগ্রি নেন। এরপর যুক্ত হন শিক্ষকতায়। তিনি ১৯৬৫ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মুসলিম হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন, ছিলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকও।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্যারের যোগ্যতা এত বেশি যে, শিক্ষকতায় না এলে তিনি পাকিস্তানের সচিব হতেন। আশি বছরের মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, আমি তো সেখানে যাবো না বলে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম। মুসলিম হাইস্কুল থেকে ১৯৭৮ সালে এসএসসি পাস করেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি নিজেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।