Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাশ্মীর ইস্যুতে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা

সংবাদ সম্মেলনে ডিজি র‌্যাব

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কাশ্মীর ইস্যু ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় জানিয়ে র‌্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ বলেছেন, এই ইস্যু নিয়ে যদি কেউ দেশে বিশৃংখলার চেষ্টা করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঈদ-পরবর্তী সময়ে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। যারা গাড়ি নিয়ে নিজ এলাকায় ঈদ করতে যাবেন, তারা যেন ‘জয় রাইডে’ বের না হন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আসন্ন ঈদুল আজহার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, ভারতের নিজস্ব বিষয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই। তবে দেশে আল্ট্রা ইসলামিস্টের সংখ্যা বেশি নয়। যারা রয়েছে তারাও ২৪ ঘণ্টা নজরদারিতে রয়েছে। আশা করবো ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় কিংবা কাশ্মীর নিয়ে দেশের কেউ পানি ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না। এরপরও যদি কেউ সে চেষ্টা করে তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাশ্মীর দেশের সমস্যা নয়, বিষয়ও নয়। সেটি নিয়ে দেশে অনাকাঙ্খিতভাবে, অযাচিতভাবে কেউ ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স¤প্রতি র‌্যাব-৭ এর সাবেক অধিনায়ক (সিও) হাসিনুর রহমানকে ডিবি পরিচয়ে পল্লবীর বাসা থেকে তুলে নেয়ার পর তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে খুঁজে বের করতে না পারাটা বাহিনীর ব্যর্থতা কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব ডিজি বলেন, অনেক মানুষকেই তো খুঁঁজে পাওয়া যায় না। খুঁঁজে না পাওয়াটা শুধু বাংলাদেশে নয়, যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ইউরোপের ক্ষেত্রেও ঘটে। একজনকে খুঁঁজে না পাওয়াটা কোনো বাহিনীর ব্যর্থতা নয়। আমাদের পক্ষ থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমরা জ্ঞাত আছি, এ বিষয়ে কাজ করছি। যদি কারো কাছে কোনো তথ্য থাকে তাহলে জানালে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
ঈদ যাত্রায় অনাকাঙ্খিত দুর্ভোগ এড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে পরিবহনে উঠবেন না। প্রয়োজনে যাত্রা কিছুটা বিলম্ব হবে, তবু ঝুঁকি নেবেন না। সারাবছরই গ্রামে যাওয়ার সুযোগ আছে। সে বিষয়টি মাথায় রাখবেন। সেই সঙ্গে লঞ্চ, ট্রেন এবং বাসের সংশ্লিষ্ট পরিচালনাকারীরাও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যেন পরিবহন চলতে না পারে সে বিষয়টিতে নজর রাখার অনুরোধ জানান তিনি।
ঈদ ও ১৫ আগস্ট কেন্দ্রিক নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ঈদের সব চেয়ে বড় নিরাপত্তা প্রয়োজন গরুর হাটে। যা আমরা ইতোমধ্যে সারাদেশের প্রায় ১৮ হাজার হাটে নিশ্চিত করেছি। গুরুত্বপূর্ণ ৫০০টি হাটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঈদের নামাজকে ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাহে নিরাপত্তা হিসেবে পোষাকের পাশাপাশি সাদা পোষাকে নজরদারি করা হবে। সেই সঙ্গে ডগস্কোয়ার্ডসহ বিভিন্ন টিম মাঠে থাকবে। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশজুড়ে র‌্যাব সদস্যরা কাজ করছেন। হাটে জাল টাকা ও অজ্ঞানপার্টির তৎপরতা রোধে তারা তৎপর রয়েছেন।
তিনি বলেন, সারাদেশের ৪২টি স্থান দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা। এগুলো আমরা চিহ্নিত করে দুর্ঘটনারোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। সেই সঙ্গে আরিচা মহাসড়ক, সাভার, পাটুরিয়াসহ যেসব স্থানে ব্যাপক যানজট হয় সেসব স্থানে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব সদস্যরাও কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ