রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ময়মনসিংহের ফুলপুরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। উপজেলা সদর থেকে শুরু করে খুপরি বস্তি পর্যন্ত সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ। দামি গাড়ি হাঁকানো ধনাঢ্য ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ‘নুন আনতে পান্তা ফুরোনো’ দরিদ্র শ্রমজীবী, সবার মাঝেই ছড়িয়ে পড়ছে আনন্দের রঙ।
ফুলপুরে মার্কেট, বিপনীবিতান, ফ্যাশনহাউস থেকে শুরু করে খোলা আকাশের নিচে পশরা সাজিয়ে বসা ফুটপাথের অস্থায়ী দোকান সর্বত্র বাড়ছে ভিড়। ফুলপুরে মার্কেটগুলো যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মার্কেটে মার্কেটে ক্রেতা সমাগমও ততোই বাড়ছে। সব বয়সী মানুষের মাঝে এখন ঈদ বাজার নিয়ে চলছে আলোচনা। ঈদে সবাই চায় নতুন জামা-কাপড়, জুতা ও প্রসাধনী।
মুসলিম জাহানের অন্যতম বড় উৎসব ঈদ উল আযহা। এই ঈদে চাই নতুন পোশাক। নতুন পোশাক ছাড়া যেন ঈদকে কল্পনাই করা যায় না। সামর্থ অনুযায়ী সবাই চায় পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটাতে। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের মধ্যে যদি থাকে তফাত তখনই ঘটে যত বিপত্তি। তাই সাধ থাকলেও সাধ্যে কোলায়না অনেকেরই পছন্দের জামা-কাপড় কেনার। আবার যাদের সাধ্যে আছে তারা কেনা কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে। আবার কেউবা ফেল ফেল করে তাকিয়ে দেখছে। তারপরও ঈদকে সামনে রেখে বিপনী বিতান ও মার্কেটগুলোতে রয়েছে দেশী বিদেশী হরেক রকম পোশাক।
ফুলপুর উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত যমুনা সুপার মার্কেট, মেঘনা সুপার মার্কেট, পদ্মা সুপার মার্কেট, সরকার গার্মেন্টস, আশিক বস্ত্রালয়, রাজ্জাক নর্থ ও সাউথ প্লাজা, লতিফ প্লাজা, মসজিদ মার্কেট, আঞ্জুমান সুপার মার্কেট ও আমুয়াকান্দা কয়েকটি মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, আগের তুলনায় গত কদিনে বিক্রি বেশ বেড়ে গেছে। দেদারছে চলছে বেচাকেনা। সেই সাথে ব্রিজ সংলগ্ন ফুটপাতের পাশে ক্ষুদ্র মার্কেটে দেখা গেছে মধ্য বিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের প্রচন্ড ভিড়। এখন চলছে বর্ষাকাল। ঈদ পোশাক কেনাকাটায় এ বিষয়টিও মাথায় রাখছেন অধিকাংশ ক্রেতা। বরাবরের মতো এবারও তারুণ্যের ঈদ-পছন্দে রাজত্ব করছে ভারতীয় পোশাক। এবারের ঈদের কেনা কাটায় পুরুষের চেয়ে মহিলাদের বেশি দেখা যাচ্ছে। ফুলপুর থানা রোডে জুতার দোকান গুলোতেও প্রচন্ড ভীড়।
মার্কেটগুলোতে দেখা যাচ্ছে রীতিমত তাক লাগানো রকমারি পোশাক ও প্রসাধনী। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। ব্যবসায়ীরা ক্রেতা চাহিদা পূরনে বাহারি ও বৈচিত্র্যময় পোশাকে দোকান সাজিয়েছেন। শিশুসহ সব বয়সী মানুষের পোশাকই পাওয়া যায়। থ্রি পিস পাওয়া যাচ্ছে মানভেদে ৩শ’ থেকে ৫ হাজার টাকায়। ২০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে শিশুদের চমৎকার সব পোশাক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।