পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, ডেঙ্গু রোগ বর্তমানে বিশে^র ১২৮টি দেশের মানুষকে ভোগান্তিতে রেখেছে। বিশে^র ১২৮টি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশও একটি। এশিয়ার অন্য একটি দেশ ফিলিপাইনে ৬শ’ জনেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে মৃত্যুবরণ করায় দেশটির সরকার মহামারী ঘোষণা করেছে। আমেরিকা বা সিঙ্গাপুরের মত আধুনিক দেশেও ডেঙ্গু থেকে রেহাই পায়নি। অন্যদিকে, বৈশি^ক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশেও প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টি হলে বাসা-বাড়ির আশেপাশে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে। এই স্বচ্ছ জমাট পানি ২/৩ দিন আটকে থাকলেই সেখানে এডিশ মশা জন্ম নেয়ার সুযোগ পায়। বাসা-বাড়ির আশেপাশে বা ছাদে, ফলের টবে বৃষ্টির পানি জমে ৩দিন থাকা মানেই এডিশ মশার বংশ বৃদ্ধিতে সহায়তা করা, আর এডিশ মশা বৃদ্ধি মানেই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাওয়া। এ কারণে ‘বাসা-বাড়িতে জমে থাকা স্বচ্ছ পানি প্রতি ৩ দিনে ১ বার পরিবর্তন করুন। পাশাপাশি প্রতিটি বাসা-বাড়িসহ স্কুল-কলেজে ব্যক্তি সচেতনতা এখন সবচেয়ে জরুরি কাজ।’
বৃহষ্পতিবার (৮ আগস্ট) রাজধানী বাড্ডায় যুগান্তর বোর্ড রুমে, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা আয়োজিত ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতায় করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল সভায় ডেঙ্গু রোগ সংক্রান্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ঢাকা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএসএমএমইউ’র মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, বিএসএমএমইউ’র সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম, কীটতত্ত্ববীদ ড. মঞ্জুর চৌধুরী, কীটনাশক বিশেষজ্ঞ এ কে আজাদ এবং আইসিডিডিআর,বি এর প্রাক্তন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা এডিশ মশার বংশ বিস্তার রোধে করণীয় উপায়সমূহ ও চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে এডিশ মশার বংশ বিস্তার রোধে করণীয় সমূহ জানাতে প্রচারণা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন। ডেঙ্গু রোগে আতংকিত না হয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণেরও কথা জানান বক্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।