সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও চার নেতাকে আত্ম সমর্পনের নির্দেশের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব। গতকাল এক বিবৃতিতে সংগঠনের ৬২৫ জন শিক্ষক অবিলম্বে এই মামলা ও পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবি জানান। প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী নয় জনের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি, হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলার আবেদন জানান। অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভ‚ঁইয়া। বাদী এবি সিদ্দিকী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করলে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়ে ইউট্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, আসলে বিএনপি ও দলের শীর্ষ নেতাদেরকে চাপ প্রয়োগ করতেই ভিত্তিহীন মামলায় পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যা আশ্চর্যের বিষয়। অতীতে মামলা হওয়ার সাথে সাথে পরোয়ানার কোনো নজির নেই। সুতরাং এটা প্রতীয়মাণ হয় যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মামলা ও পরোয়ানা জারি হয়েছে।
ইউট্যাবের বিবৃতি দাতাদের অন্যতম হলেন- সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড. ফরিদ আহমেদ, অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম মজুমদার, অধ্যাপক সৈয়দ আবুল কালাম আযাদ, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, অধ্যাপক এম ফরিদ আহমেদ, ড. গোলাম রব্বানি, ড. মাহফুজুল হক, ইসরাফিল প্রামাণিক রতন, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী (চবি), ড. এম এ বারি মিয়া, অধ্যাপক খায়রুল (শাবিপ্রবি), ড. শামসুল আলম সেলিম (জাবি), ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট), অধ্যাপক তোজাম্মেল (ইবি) প্রমুখ।