রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আম, জাম, লিচু, কলা সকলেই খেতে ভালোবাসলেও বেশিরভাগ মানুষ কাঠাল খেতে তেমন স্বাচ্ছন্দবোধ করেন না। কাঁঠাল বেশি খেলে হজমে সমস্যা, পেটব্যাথা হয় এমন অজুহাত দেখিয়ে অনেকেই কাঁঠাল বেশি খেতে চান না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার আমইল গ্রামের বাসিন্দা কারী মোজাফফর হোসেন। তিনি এক বৈঠকে বসে একবারে মাঝারি আকারের দুই থেকে তিনটি কাঠাল খেয়ে ফেলেন। এতে তার কোন সমস্যা হয় না। গত সোমবার তিনি এক বৈঠকে দুটি কাঠাল খেয়ে ফেলেন। কাঠাল দুটিতে প্রচুর পরিমান রোয়া ছিল। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়।
ক্বারী মোজাফফর হোসেন জানান, কাঠাল মৌসুমে তিনি প্রতিদিন কাঠাল খেয়ে থাকেন। বিভিন্ন ফলের মধ্যে কাঠাল তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। কাঠালের রোয়া’র পাশাপশি বিচিও তার পছন্দের খাবারের একটি। তিনি জানান, অনেকেই বলতে শুনেছি কাঠাল খেলে নানা সমস্যা হয়, কিন্তু আমার কোন সমস্যা হয় না। কাঠাল খাওয়ার পর তিনি ভাতসহ অন্যান্য খাবার স্বাভাবিকভাবে খেতে পারেন। মোজাফফর হোসেন আদমদীঘি উপজেলার অন্তাহার ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ক্বারী শিক্ষক। ওই মাদরাসার অন্য শিক্ষক ও এলাকার মানুষ ও মোজাফফর হোসেনকে কাঠাল পাগল বলে জানে।
তিনি বলেন, তার বাড়িতে অনেক কাঠাল গাছ তিনি লাগিয়েছেন। পাশাপাশি মাদরাসায় প্রায় ১০টি কাঠাল গাছ রয়েছে। এ কারণে কাঠাল পেতে তাকে কোন প্রকার বেগ পেতে হয় না। এ ছাড়া বাজারে কাঁঠালের দাম কম হওয়ায় মোজাফফর হোসেন সহজেই কাঠাল সংগ্রহ করতে পারেন। মোজাফফর হোসেন বলেন, কাঠালের অনেক গুন রয়েছে বলে এটিকে জাতীয় ফলের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কাঠাল এমন একটা ফল যার কোন অংশ ফেলে দিতে হয় না, কিছু অংশ মানুষ খায় আর কিছু খায় পশু। তিনি আরোও বলেন আগে এতবেশী কাঠাল খায়নি। অন্তাহার মাদরাসায় চাকরিতে যোগদানের পর এই এলাকার কাঠাল রোসালো ও মচমচে স্বাদে ভালো বলে বেশি খেতে পারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।