রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সারাবছরই কামারদের দোকানে কমবেশি ভিড় থাকে। তবে কুরবানি ঈদের সময় কামারশালায় সরঞ্জামের চাহিদা বেড়ে কয়েকগুনে দাঁড়ায়। প্রতিবছর কুরবানির ঈদে কামার দোকানদারদের একটা বড় টার্গেট থাকে। সারা বছরের ব্যবসার লাভের বড় অংশটা কুরবানি ঈদের এ মৌসুমেই হাতে আসে। কুমিল্লা শহরের চকবাজারের কামার দোকানিরা সেই টার্গেট সামনে রেখে পশু জবাইয়ের এবং মাংস কাটাকুটির সব সরঞ্জাম শান দেয়া, তৈরি করা নিয়ে পুরোদমে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
হাঁপরের আগুনের শিখায় লাল করে নামিয়ে এনে হাতুড়ি পেটানোর টুংটাং শব্দে তৈরি হচ্ছে দা, বটি, ছুরি, চাপাতি। আবার শান মেশিনের আলোকছটায় মুখর হয়ে উঠেছে কামারপট্টি। কুমিল্লা নগরীর চকবাজারের কামারপট্টিতে ঈদুল আজহায় কুরবানির পশুর গোশত কাটার সরঞ্জাম আগেভাগে কেনা ও পুরানোগুলো মেরামত বা শান দেয়ার কাজটি সারিয়ে নিতে কুরবানিদাতাদের ভিড়ে কামাররাও গলদগর্ম হয়ে পড়েছেন। কুমিল্লা জেলার অন্যতম কামারপট্টি নগরীর চকবাজারে। প্রায় ৩৫টি কামার দোকান রয়েছে এখানে। জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও বেশকিছু কামার দোকান রয়েছে। চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী পশুরহাট ঘিরেই রয়েছে বিশাল কামারপট্টি।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে চকবাজার কামারপট্টিতে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অন্য সময়ের চেয়ে দোকানে মৌসুমী কর্মচারীর সংখ্যাও বেড়েছে। পোড়া কয়লার গন্ধ, হাঁপরের হাঁসফাঁস আর হাতুড়ি পেটানোর টুং টাং শব্দে তৈরি হচ্ছে চকচকে ধারালো দা, চাপাতি, বড়-ছোট ছোড়া, বঁটিসহ নিমিষে গোশত কাটাকুটির সবধরণের উপকরণ। কুরবানি এলেই নগরীর চকবাজারের কামারপট্টিতে দোকানিদের বেচাবিক্রি ও কেনার জন্য ব্যস্ততা বেড়ে যায় ক্রেতাদের। কুরবানিদাতারা পশু কেনার আগে পরে গোশত কাটার সরঞ্জাম কিনে নিচ্ছেন। কেউবা গতবছরের ব্যবহৃত সরঞ্জাম শান দিয়ে চকচকে করে নিচ্ছেন। পুরনোর সাথে নতুন কয়েকটাও কিনে নিচ্ছেন। চকবাজারের কামারশালার নোয়াব মিয়া জানান, কুরবানি এলেই বেচাবিক্রি ও লোকজনের মরিচা পড়া দা, বটি, ছোরা ইত্যাদি সরঞ্জাম ধারালো করার ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ওই দোকানি আরও জানান, কাঁচা লোহা, কয়লা ও অন্যান্য উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে দা, ছোরা ও অন্যান্য সরঞ্জাম বেশি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্রেতা ও গোশত কাটাকুটির সরঞ্জাম শান দিতে আসা লোকজন জানান, শান দেয়ার খরচ বেশি হলেও এবং সরঞ্জামের দাম বেশি হলেও কিনতে হবে। কারণ বছরে মাত্র একবার কুরবানির পশু কাটা-কুটা না করলে আনন্দটাই মাটি হয়ে যাবে।
এদিকে নগরীর চকবাজারের কামারপট্টি ছাড়াও নগরীর রাজগঞ্জ, মোগলটুলি, তেরিপট্টি এলাকার কাশারিপট্টি, কান্দিরপাড়, শাসনগাছায় ফুটপাতে দা, ছোড়া, চাপাতি বিক্রির পসরা বসেছে। প্রতিবছরই কুরবানির ঈদ এলে ফুটপাতে গোশত কাটাকুটির সরঞ্জাম বিক্রি ও পুরানো সরঞ্জাম শান দেয়ার পসরা জমে উঠে। আবার ভ্রাম্যমান শানওয়ালারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দা, বটি, ছোরা শাণ দিচ্ছেন। কুরবানি এলে এদেরও কদর বাড়ে। কাঁধে শান মেশিন নিয়ে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছে শানওয়ালারা। ঈদের দিনে কুরবানির মাংস কাটাকুটার জন্য প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হাতের কাছে রাখতে কামারশালার ব্যস্ততা আর ভ্রাম্যমান শানওয়ালাদের হাকডাকে কুমিল্লার সর্বত্র বিরাজ করছে কুরবানির আমেজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।